সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। টাঙ্গাইলে ছড়িয়ে পড়ার আগে ৬৫০টি শনাক্তকরণ কিট সরবরাহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (২৩ জুন) টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ওই কিট সরবরাহ করা হয়।
Advertisement
নতুন সরবরাহ পাওয়ার পর করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা তিনজনের পরীক্ষা করা হয়। এ তিন জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে মঙ্গলবার নতুন করে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়নি।
এদিকে চাহিদার তুলনায় জেলায় খুব কম করোনার কিট সরবরাহ করা হয়েছে। তবে জেলার হাসপাতালের কিট সরবরাহ করা হলেও উপজেলা পর্যায়ে কোনো কিট দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে করোনা পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে আসতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট সরবরাহ না থাকায় রোগীদের জেলা সদরে পাঠানো হয়। ফলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে করোনার উপসর্গ রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
Advertisement
নাগরপুর উপজেলার জাহানারা আক্তার, জাহাঙ্গীর আলম ও সানোয়ার বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে তারা প্রথমে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে পরীক্ষা করার কিট না থাকায় তাদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। উপজেলা থেকে টাঙ্গাইল শহরের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তারা জেলা সদরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য উপজেলা পর্যায়ে এখনও কিট সরবরাহ করা হয়নি। প্রায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসেন। কিট না থাকায় তাদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুল কুদ্দুস জানান, হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের শনাক্তকরণের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। প্রথম দিনে তিনজন টেস্ট করেছেন তাদের প্রত্যেকের করোনা নেগেটিভ এসেছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ২০২০ সালের বছরের ৮ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। ওই বছরের ২০ এপ্রিল জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হয়। জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬৯০। এখানে মৃত্যু ছিল ২৭২ জন।
Advertisement
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন এফএম মাহবুবুল আলম বলেন, জনসংখ্যা বিবেচনায় ১৯ হাজার ৫০০ কিটের চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৬৫০টি কিট পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এখনও করোনা পরীক্ষার কিট পাঠানো হয়নি। টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে করোনার কিট রয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান/আরএইচ/এমএস