শিক্ষা

গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক পদ শূন্য ১ লাখের বেশি, আবেদন মাত্র ৫৭ হাজার

গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক পদ শূন্য ১ লাখের বেশি, আবেদন মাত্র ৫৭ হাজার

দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট প্রকট। এ সংকট কাটাতে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ছিল ১ লাখ ৮২২টি। এর বিপরীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন জমা পড়েছে ৫৭ হাজারের কিছু বেশি। ফলে প্রায় অর্ধেক পদই শূন্য থেকে যাবে। শিক্ষক সংকটকে সঙ্গী করেই এগোতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।

Advertisement

রোববার (১৩ জুলাই) সকালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) দুজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এনটিআরসিএসর তথ্যমতে, গত ১৬ জুলাই ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে ১ লাখ ৮২২টি শূন্যপদে আবেদন আহ্বান করা হয়। গত ২২ জুন থেকে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী- আবেদনের সময় শেষ হয়েছে গত ১০ জুলাই। তবে রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ফি জমা দেওয়া যাবে। এ পর্যন্ত ফরম পূরণ ও ফি পরিশোধ করে সফলভাবে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৩৯১ জন। শেষ পর্যন্ত সেই সংখ্যা হয়তো প্রায় ৫৮ হাজারে দাঁড়াতে পারে।

Advertisement

এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানান, যদি সব প্রার্থীর আবেদন বৈধও হয়, তবুও প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য থেকে যাবে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাহিদা দিয়েও শিক্ষক পাবে না। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

এদিকে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতায় বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। এতে অনেক প্রার্থী বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ আন্দোলনেও নামে। এখনও সেই আন্দোলন চলমান।

আবেদনের যোগ্যতার শর্তে বলা হয়, প্রার্থীর বয়সসীমা ৪ জুন ২০২৫ তারিখে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হতে হবে, যেদিন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ফল প্রকাশের তারিখ থেকে তিন বছরের মধ্যে থাকতে হবে। বয়স ও সনদের মেয়াদের শর্ত পূরণ না করলে প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না।

এএএইচ/এএমএ/এমএস

Advertisement