দেশজুড়ে

শ্রেণিকক্ষ দখল করে উপাধ্যক্ষের ঘর-সংসার

শ্রেণিকক্ষ দখল করে উপাধ্যক্ষের ঘর-সংসার

কু‌ড়িগ্রাম সরকা‌রি কলেজের এক উপাধ্যক্ষের বিরু‌দ্ধে শ্রেণিকক্ষ দখল ক‌রে নিজের বসবাসের জন্য আসবাব ব‌সিয়ে বেডরুম বা‌নানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আতাউল হক খান চৌধুরী। বিষয়‌টি জানাজা‌নি হলে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

Advertisement

জানা যায়, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩১০১ নম্বরের কক্ষটিতে বসবাসের জন্য বিছানা, এসি, ফ্রিজ, টিভি, আলনা, চেয়ার-টেবিল, কম্পিউটার, জুতা রাখার র‌্যাকসহ যাবতীয় আসবাবপত্র রাখা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষের সব আসবাবপত্র সরিয়ে রঙ করে বেডরুম হিসেবে বসবাসের উপযোগী করে তুলেছেন ওই উপাধ্যক্ষ।

এক‌টি সূত্র জানায়, উপাধ‌্যক্ষ কক্ষ‌টি‌তে দুই বছরেরও বেশি সময় থেকে থাকছেন। বদলি হয়ে এসে প্রথম দিকে তিনি সরকারি কলেজের ডরমেটরিতে থাকলেও গত ২ বছর থেকে তিনি কলেজের ৩১০১ ক্লাস রুমটি দখল করে বসবাস করছেন। এছাড়া তিনি ভাড়া বাসায় না থে‌কে সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়মিত বাড়িভাড়া বাবদ তার মূল বেতনের ৩৫ শতাংশ পাচ্ছেন ব‌লে জানা গে‌ছে।

আরও পড়ুন উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাটে বেচাকেনা হয় কোটি টাকার লাল মরিচ ভাঙনে ভিটে হারিয়ে নিঃস্ব মানুষ, খোঁজ নেই পাউবোর তিস্তার পা‌নিতে কৃষকের সর্বনাশ

জানা গেছে, আতাউল হক খান চৌধূরী ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময়ে তার বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির পরে তাকে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হয়। আতাউল হক খান চৌধুরীর বাড়ির কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চৌধুরী বাড়ি মহল্লায়।

Advertisement

পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালে তার বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের (দুদক) সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট মাসে রাজবাড়ী বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে উপাধ্যক্ষ আতাউল হক খান চৌধুরী বলেন, এটা আমি ঠিক করিনি। ত‌বে আমি আর সেখানে থাকবো না।

তিনি আরও বলেন, আমাকে অধ্যক্ষ স্যার থাকতে বলেছেন, একা মানুষ দূরে কোথাও না থেকে কলেজে থাকতে বলছেন। এর আগেও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকসহ সেখা‌নে অনেক শিক্ষক ছিলেন।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমি থাকার কোনো অনুমোদন দেইনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

রোকনুজ্জামান মানু/এমএন/জিকেএস