দেশজুড়ে

ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ

ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ

বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ইউপি সদস্যসহ দুজন আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ও ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement

রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ১৯ জুন ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠুকে ঘেরাও করে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে ১০ জুলাই পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বুঝে নেন ফিরোজ খান তাপস। তার দায়িত্ব পালনের নির্ধারিত তারিখ শেষ হলে রোববার সকাল ১০টার দিকে জাহিদুল ইসলাম মিঠু ইউপি কার্যালয়ে যান। তখন সেবা নেওয়ার জন্য সেখানে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা করে তাপসের লোকজন। এসময় ইউপি সদস্য সোহেল খানসহ দুজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ফিরোজ খান তাপস ও রাসেল আকন নামে দুজনকে আটক করে।

আহত ইউপি সদস্য সোহেল খান বলেন, ‘ফিরোজ খান তাপস ইউপি কার্যালয়ে ঢুকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তিনি ককটেল ফাটিয়ে এবং রামদা ও হকিস্টিক নিয়ে চেয়ারম্যানের ওপর হামলা করতে যান। আমি এবং চেয়ারম্যানের ভাই জসিম মৃধা রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন।’

Advertisement

অভিযোগ অস্বীকার করে ফিরোজ খান তাপস বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোক তাই আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ করে দলীয়ভাবে হেয় করার জন্য এ ঘটনা সাজিয়েছেন।’

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘ফিরোজ খান তাপস ১৯ জুন একটি চায়ের দোকানে বসে নিজে একটি দায়িত্ব হস্তান্তর লিখে এনে পুলিশের গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক দায়িত্ব বুঝে নেন। আজ আমি ইউপি কার্যালয়ে গেলে হত্যা করার জন্য হামলা করে। ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে যাই।’

সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী) সার্কেল মো. তারিকুল ইসলাম মাসুদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ মতন করা হয়েছিল।’

নুরুল আহাদ অনিক/আরএইচ/জিকেএস

Advertisement