অর্থনীতি

দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান

দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান

দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় নীতি নির্ধারকদের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। সম্প্রতি সরকারের বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্ববান জানান।

Advertisement

রোববার (১৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৭ জুলাই বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সুতা উৎপাদনে ব্যবহার্য প্রধান কাঁচামাল তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ এআইট অবিলম্বে প্রত্যাহার, গত ২০২৪-২৫ এর ন্যায় ১৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স পুর্নবহাল এবং দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত কটন সুতা এবং কৃত্রিম ও অন্যান্য আঁশের সংমিশ্রণে তৈরি সুতার ওপর কেজি প্রতি সুনির্দিষ্ট কর ৫ টাকা অব্যাহতি প্রদান বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক সভা হয়।

সভার শুরুতে বিটিএমএ’র প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল বলেন, বিটিএমএ প্রাইমারি টেক্সটাইল সেক্টরের সর্ববৃহৎ সংগঠন, এর সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ৮৫৮ তন্মধ্যে স্পিনিং, উইভিং এবং ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বেসরকারি খাতে একক বিনিয়োগ হিসেবে সর্বাধিক। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ এর অধিক অর্জিত হচ্ছে টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাত হতে যার প্রায় ৭০ শতাংশ এর যোগানদাতা বিটিএমএ’র নেতৃত্বাধীন টেক্সটাইল খাত এবং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিটেনশন প্রায় ৩০ শতাংশ। তাই বিটিএমএ-র সদস্য মিলগুলি বর্তমানে দেশের আমদানি পরিপূরক শিল্প হিসেবে বিবেচিত।

Advertisement

তিনি বলেন, তৈরি পোশাকসহ টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সরকারের যথাযথ সহযোগিতা পেলে রপ্তানি আয় ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার করা সম্ভব। একই খাতভুক্ত শিল্প হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই টেক্সটাইল খাতের যে কোনো সমস্যা সাপ্লাই চেইনে সংযুক্ত তৈরি পোশাক খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এমআইএইচএস/জিকেএস