টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম মহানগরের নিচু এলাকাগুলোতে হাঁটুপানি জমে গেছে। এতে যানবাহন এবং পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদের পাঠানটুলি হালিশহর কে ব্লক, এলাকার মূল সড়ক থেকে আশেপাশের রাস্তাগুলোতে হাঁটুপানি জমে ভোগান্তি তৈরি করেছে।
Advertisement
বুধবার (১৮ জুন) সকাল থেকে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত থেকে নগরীতে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। তবে বিগত বছরগুলোতে চট্টগ্রামের মুরাদপুর ফ্লাইওভারের মুখ, বহদ্দারহাট এলাকার যেসব স্থানে বেশি জলাবদ্ধতা হতো এবার সেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়নি।
কাতালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা রাজিব চৌধুরীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বুধবার সকালে বহদ্দারহাট থেকে চকবাজার সড়কের কাতালগঞ্জ এলাকার সড়কে হাঁটুপানি জমছে। শহরের বিভিন্ন এলাকার ড্রেনগুলো নতুন করে করার কারণে জলাবদ্ধতা না থাকলেও কাতালগঞ্জ এলাকার আশপাশের ড্রেনগুলো এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার না হওয়াতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
আগ্রাবাদ এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে কমার্স কলেজ রোড সড়কে পানি জমে যায়। আশপাশের এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা হয়। দিনের বেলায় জলাবদ্ধতা হওয়ার কারণে বাণিজ্যিক এলাকার লোকজনকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
Advertisement
বুধবার ১৮ জুন সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস উদ্ধৃতি করে নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ও কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ভারী/অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। নগরীতে অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে নগরীর আমবাগান আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এমডিআইএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম
Advertisement