দেশজুড়ে

ঈদের প্রভাব কমতেই রংপুরে বেড়েছে মুরগির দাম

ঈদের প্রভাব কমতেই রংপুরে বেড়েছে মুরগির দাম

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম। তবে দাম কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিম ও সবজির। এছাড়া মাছ, মাংস, চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও তেল আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৭ জুন) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের মুরগির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি ২৪০-২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০-২৬০ টাকা, পাকিস্তানি (হাইব্রিড) ২৩০-২৪০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৬০-৫৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা মোড়ের মুরগি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাজারে ঈদের প্রভাব কমতে শুরু করেছে। এখন মুরগির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম সামান্য কমেছে। পাইকারি বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৩৬-৩৮ টাকা বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা পর্যন্ত।

Advertisement

এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের তুলনায় আরও বেড়ে ৫০-৬০ টাকা থেকে হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, গাজর আগের মতোই ১৮০-২০০ টাকা, কাঁকরোল ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙার দাম কমে ২৫-৩০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা গত সপ্তাহের মতো ২৫-৩০ টাকা হালি, চিচিঙ্গা ৩০-৩৫ টাকা, সজনে ১০০-১২০ টাকা থেকে কমে ৮০-৯০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ২৫-৩০ টাকা, পটলের দাম কমে ২৫-৩০ টাকা, বরবটির দাম বেড়ে ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৩০-৩৫ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ২৫-৪০ টাকা, কচুরলতি ৩০-৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০-১৫ টাকা, ধনেপাতার দাম কমে ৮০-১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩০-৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা, আদা ১২০-১৩০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলু ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু আগের মতোই ৩০-৩৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাকড়ি আলু ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ধাপ বাজারের সবজি বিক্রেতা কবীর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম আরও কমেছে। গ্রীষ্মকালীন এই সময়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় সবজির দাম অনেকটাই কম আছে। দাম কম থাকলে ক্রেতারাও সন্তুষ্ট থাকেন আর আমাদের বিক্রিও বেশি হয়।

ওই বাজারে সবজি কিনতে আসা আসমা আক্তার বলেন, অধিকাংশ সবজি ৫০ টাকার নিচে। দাম আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকলে ভালো হয়।

Advertisement

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, চিনি ১১৫-১২০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) আগের মতোই ৪৫-৪৮ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬০-৬৫ টাকা, বিআর ২৯ ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৮০-৮৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই আকারভেদে রুইমাছ ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা, মৃগেল ২৪০-২৬০ টাকা, কারপু ২২০-২৫০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এফএ/জেআইএম