দেশজুড়ে

এখনো জমেনি খুলনার পশুর হাট

এখনো জমেনি খুলনার পশুর হাট

খুলনার পশুর হাটে বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি হওয়ায় অলস সময় কাটছে ব্যাপারীদের। তবে বিক্রি বাড়বে বলে সেই আশায় রয়েছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) খুলনার জোরাগেট, আঠারো মাইল ও তেরোখাদাসহ বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

হাটগুলো ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ কম। যারা কোরবানির পশু কিনতে হাটে যাচ্ছেন তাদের অনেকে পছন্দের পশু কিনে ফিরছেন। আবার অনেকে দামদর করছেন, ঘুরে দেখছেন, পছন্দ হলে কিনবেন। তবে রাত থেকে বেচাকেনা আরও জমে উঠবে বলে আশা করছেন বেপারিরা।

বিক্রেতারা বলেছেন, আজ রাত এবং কাল (৬ জুন) দুদিন হাটে ক্রেতা বাড়তে পারে। এবার ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। ৫০ হাজার থেকে শুরু করে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার দামের গরুও রয়েছে হাটগুলোতে। তবে গত দুদিনের তুলনায় গরু বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে।

Advertisement

ডুমুরিয়া থেকে জোরাগেট হাটে গরু নিয়ে আসা বেপারি মোসলেম উদ্দিন জানান, ছোট বড় আঁকারের ১৪টা গরু তিনি নিয়ে এসেছেন। দুদিনে চারটি গরু বিক্রি হয়েছে তার। ৮০-১৩০ হাজার টাকার মধ্যে গরুর দাম রয়েছে।

অন্য আরেক বিক্রেতা পান্না হাওলাদার বলেন, কোরবানির পশু বিক্রি এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। আজ রাত থেকে বিক্রি বাড়তে পারে। ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি খুঁজছেন ক্রেতারা। বড় গরুর দরদাম চললেও বিক্রি কম।

আঠারো মাইল হাটের বিক্রেতা খায়ের মোল্যা বলেন, মঙ্গলবার ১৯টি গরু নিয়ে এসেছি। আজ বিকেল পর্যন্ত তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে। এবার গরুর দাম অনেক কম। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা নেই। গতবার শহরের মানুষ এ হাটে ভিড় জমাতেন। কিন্তু এবার তেমন শহুরে মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে।

জোড়াগেট পশুর হাটে যাওয়া জোবায়ের হোসেন বলেন, ডুমুরিয়া আর আঠারো মাইল হাট ঘুরে এখানে এলাম। একটু দাম যাচাই-বাছাই করছি। সাধ্যের মধ্যে মাঝারি সাইজের গরু খুঁজছি। পছন্দ হলে কিনে বাড়ি ফিরব।

Advertisement

অন্য একজন ক্রেতা ফোরকান আহমেদ বলেন, দুপুরে এসেছি। হাতে সময় নিয়ে এসেছি। দামদরে পছন্দ হলে আজকেই ক্রয় করব। তবে হাটের শেষদিন দাম কমতে পারে।

আঠারো মাইল হাটে আসা কামরুল ইসলাম বলেন, আঠারো মাইল হাটে গৃহস্থ বাড়িতে পালা গরু বেশি আসে। প্রতিবার এখানেই গরু কিনতে আসি। এবারো এসেছি, পছন্দ হলে গরু কিনবো। এবার মাঝারি সাইজের গরুর দাম একটু বেশি।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, খুলনায় এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩১টি। যেখানে জেলার মোট চাহিদা ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৮৫টি। অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৬ হাজার ৭৪৬টি। চাহিদার তুলনায় কোরবানি যোগ্য পশুর ঘাটতি নেই।

আরিফুর রহমান/জেডএইচ/জেআইএম