বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির দুঃসময়ে যারা পাশে ছিলেন না, দূরে ছিলেন, তাদের সদস্য করে নেওয়া হলেও তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য পদ নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এজেডএম জাহিদ বলেন, ‘যারা প্রতিকূল অবস্থায় বিএনপি ছেড়ে যাননি, আন্দোলনে ছিলেন এবং বিএনপিতেই ছিলেন; তারাই বিএনপির হয়ে নেতৃত্বে আসবেন। এখন সময় এসেছে বিএনপির হিসেব-নিকেশের।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে সব ধরনের সুবিধা গ্রহণ করেছে, আবার ৫ আগস্টের পর বিএনপির পতাকালে এসে নতুন করে সুবিধাভোগের চিন্তা করছে, তাদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা ও নবায়ন করা যাবে না।’
Advertisement
এমন কাউকে সদস্য করা যাবে না, যার জন্য মুখ লুকাতে হয় জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এমন সদস্য নিতে হবে, যাকে দেখে মানুষের বুক গর্ভে ভরে যায়। যাচাই-বাছাই করে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। বিএনপির সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ভাই গ্রুপ কিংবা অমুক তমুক গ্রুপ দেখে নয়, সমাজ যাকে সম্মান করে, সমাজ যাকে সমীহ করে তাকেই জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপিতে সদস্য হিসেবে উৎসাহিত করতে হবে। এতে প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষিকাসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিতদের বিএনপির সদস্য হতে উৎসাহিত করতে হবে আমাদের।’
ডা. জাহিদ বলেন, ১৯৪৭ ও ৭১-কে ভোলা যাবে না, তেমনি ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর ভোলা যাবে না। সেইসঙ্গে ১৯৯০ ভোলা যাবে না। ৯০ ভুললে স্বৈরাচার আবার মাথা চাড়া দেবে। তেমনি ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট যদি মনে না রাখি, তাহলে আবারও কর্তৃত্ববাদী শাসন আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক ও অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন ও জেলা কমিটির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু।
Advertisement
সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য পদ নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের আট জেলার সব ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জিতু কবীর/এসআর/জেআইএম