বাংলাদেশে কর্মসংস্থান একটি ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। এ ছাড়া প্রায় ১ কোটি মানুষ আছেন, যারা যোগ্যতা ও পছন্দ অনুযায়ী কাজ খুঁজে পাননি কিংবা যে কোনোভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
Advertisement
এ বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য কার্যকর পার্ট টাইম ও ফুল টাইম পেশা হিসেবে টিউশন দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয়। তবে এখনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর বাইরে থাকায় নিরাপত্তা, প্রতারণা ও অদক্ষতা নিয়ে আছে নানা অভিযোগ।
এ অগোছালো ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা আনতে ২০১২ সালে প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্ম ‘কেয়ারটিউটরস’ যাত্রা শুরু করে। এটি একটি অনলাইনভিত্তিক টিউশন প্ল্যাটফর্ম। যা ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখন পর্যন্ত দেশের সব বিভাগীয় শহর থেকে ৪ লাখেরও বেশি টিউটর এতে যুক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন সুইডেনের এসআই স্কলারশিপ যেভাবে পেলেন উৎসব যেভাবে বিজেএস পরীক্ষায় সফল হলেন মহিউদ্দিনশিক্ষার্থীরা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে সরাসরি টিউশন খুঁজে নিতে পারেন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কার্যকর সহায়ক মাধ্যম। ফুল টাইম চাকরির সুযোগ না থাকায় এবং অনেক সময় পরিবার থেকে আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় টিউশনই তাদের একমাত্র উপার্জনের পথ। কেউ বাড়তি আয়ের জন্য, কেউ চাকরি খোঁজার সময়ে টিউশন করেই জীবন চালাচ্ছেন।
Advertisement
কেয়ারটিউটরসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ রাজু বলেন, ‘আমরা চাই টিউশন খাতটি নিরাপদ, স্বচ্ছ ও সম্মানজনক হোক। শিক্ষার্থীরা যাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। অভিভাবকরাও নিশ্চিন্তে সন্তানদের জন্য টিউটর খুঁজে পান। সেই বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। কেয়ারটিউটরসকে একটি দেশীয় বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘কেয়ারটিউটরস ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ লাখ স্টেকহোল্ডার নিয়ে একটি বৃহৎ পরিবার গড়ে তুলতে চায়। যেখানে টিউশন দাতা ও গ্রহীতা মিলেই তৈরি হবে আন্তরিক ও বিশ্বাসযোগ্য নেটওয়ার্ক। আমরা চাই, টিউশন খাতটি হোক দেশের অন্যতম সম্মানজনক ও কর্মসংস্থানমুখী একটি সেক্টর।’
এসইউ/এএসএম
Advertisement