থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রার পদত্যাগ দাবিতে হাজার হাজার মানুষ শনিবার (২৮ জুন) ব্যাংককের রাজপথে বিক্ষোভ করেছে। এক সময়ের কম্বোডিয়ান নেতা হুন সেনের সঙ্গে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপ ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ায় এই বিক্ষোভের সূত্রপাত।
Advertisement
গত ২৮ মে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে একটি বিতর্কিত এলাকায় সংঘর্ষ হয়, যাতে এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হন। এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্নের নেতৃত্ব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুন সেনের সঙ্গে তার একটি ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর, যা এখন থাইল্যান্ডে একাধিক তদন্তের মুখে রয়েছে।
আরও পড়ুন>>
সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিনের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ দুর্নীতির বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সমঝোতাবিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করছেন, ওই ফোনালাপে পেতংটার্ন একজন সেনা কর্মকর্তাকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করেন এবং সীমান্ত পরিস্থিতি প্রশমনে হুন সেনকে খুশি করার চেষ্টা করেন, যা থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দুর্বল অবস্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Advertisement
শনিবার ব্যাংককের বিজয় স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় হাজারও বিক্ষোভকারী সমবেত হন। তাদের অনেকের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা এবং ব্যানার। সেখানে মঞ্চ বসিয়ে বক্তারা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা বলেন। বিক্ষোভকারীরা দেশপ্রেমমূলক গান গেয়ে, স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানান।
৪৭ বছর বয়সী পর্যটন গাইড তাচাকর্ন স্রিসুয়ান বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে আমি কখনো এত দুর্বল প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। আমরা কারও ভূখণ্ডে হামলা চাই না, কিন্তু আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতেই হবে।
এই আন্দোলনে ‘ইয়েলো শার্ট’ হিসেবে পরিচিত রাজতন্ত্রপন্থি ও সিনাওয়াত্রা পরিবারের বিরোধী দলগুলোর নেতারাও অংশ নেন। এই গোষ্ঠী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পেতংটার্নের পিতা থাকসিন সিনাওয়াত্রা এবং ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া তার ফুপি ইংলাক সিনাওয়াত্রারও প্রবল সমালোচক।
সূত্র: এপি, ইউএনবিকেএএ/
Advertisement