স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য বিকল্প প্রণোদনা চালুর বিষয়ে কাজ করবে সম্মিলিত পরিষদ। আসন্ন বিজিএমইএ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দিতা করছে সম্মিলিত পরিষদ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের নেতারা এ মন্তব্য করেন।
সম্মিলিত পরিষদের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর রপ্তানিকারকরা শুল্কমুক্ত বাজারের সুবিধা হারাবেন। তাদের রপ্তানি গন্তব্যস্থলে প্রতিযোগিতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানিকারকদের সহায়তা করার লক্ষ্যে আমরা সরকারের সঙ্গে বিকল্প নগদ প্রণোদনা চালুর জন্য কাজ করবো।
তিনি বলেন, আমরা গ্র্যাজুয়েশন পিছিয়ে দেওয়ার এবং গ্রেস পিরিয়ড তিন বছর থেকে ছয় বছর করার উপরও মনোনিবেশ করবো।
Advertisement
ফারুক হাসান আরও বলেন, আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাদের লক্ষ্য হবে কারখানার মান উন্নত করা। বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য করে তোলা, যা এই খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনফের খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, প্রথম দফায় যাচ্ছেন ৭৯২৬ শ্রমিককর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতির দ্বিতীয় দিনে স্থবির এনবিআরসম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার মো. আবুল কালাম বলেন, এখন বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা এক চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। বিশেষ করে, ট্রাম্প প্রশাসনের রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপের ফলে। একই কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো একক বৃহৎ রপ্তানি বাজারে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন এক সময়ে বিজিএমইএর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, গ্যাস সংকট, কাস্টমস -বন্ড ও ব্যাংকিং সংক্রান্ত জটিলতা এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরিকল্পনার কারণে আগামী দিনগুলোতে এই শিল্পের জন্য পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা ‘সম্মিলিত পরিষদ’ থেকে সরকারের নিকট থেকে শিল্পবান্ধব নীতি সহায়তা আদায় এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে, পরীক্ষিত, অভিজ্ঞ, দ্বিতীয় প্রজন্মের শিক্ষিত ও পেশাদার উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী প্যানেল গঠন করেছি।
আবুল কালাম আরও বলেন, এসএমই উদ্যোক্তারা শিল্পের প্রাণ। আর্থিক সংকট, শ্রমিক অসন্তোষ এবং কর্মসংস্থান সংকটের মতো বিভিন্ন কারণে প্রায় ৬৩০টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা যদি নির্বাচনে জয়লাভ করি এবং দায়িত্ব গ্রহণ করি, তাহলে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুনর্বাসনের জন্য কাজ করবো। তবে যাদের কারখানা আছে কেবল তারাই অগ্রাধিকার পাবে।
Advertisement
আটক বিজিএমইএ সদস্য এবং প্রাক্তন নেতাদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি ও বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, এটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় সমাধান করা হবে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং এ বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে ফারুক হাসান বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি যে, কোনো অপরাধে জড়িত নন এমন প্রাক্তন নেতা এবং সদস্যদের কোনো ক্ষতি না করা হোক। এটি ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ক্রেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বিতর্কিত মালিক নির্বাচনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন প্যানেলের নেতা আবুল কলকাম দাবি করেন, এমন কোনো মালিক নেই তাদের দলে। প্যানেলে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং তরুণ উদ্যোক্তারা রয়েছেন।
কেএসআর/জেআইএম