দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নদীয়ার বিধায়ক তাপস সাহার মৃত্যু, মমতার শোক

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার তেহট্টের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তাপস সাহা মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

জানা গেছে, বুধবার (১৪ মে) নিজের বাড়িতে হঠাৎ করেই বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করেন তাপস। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নদীয়া জেলার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের হয়েছিল তার। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন তৃণমূলের এই বিধায়ক। আধুনিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভারতের বেঙ্গালুরুতেও গিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে, তাপস সাহার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেন, আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শ্রী তাপস সাহার অকালমৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি আমার বহু দিনের পুরোনো সহকর্মী ছিলেন। তার মৃত্যুতে জেলা তথা বাংলার রাজধানীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি তার পরিবার, পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও অগণিত সমর্থককে সমবেদনা জানাই।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল এই তৃণমূল বিধায়কের। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল তাপস সাহার বিরুদ্ধে। যার ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজিরাও দিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া তার তেহট্টের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানও চালিয়েছিলেন সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা।

তাপস সাহার আপ্ত সহায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তার বাড়ির পাশের একটি পুকুরেও তল্লাশি চলে। পুকুর পাড়ে বেশকিছু নথি পোড়ানোরও অভিযোগ উঠেছিল তাপসের বিরুদ্ধে। সব জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই তার বাড়ি ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই তাপস নিজের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ডেকে মাংস-ভাত খাইয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিল স্থানীয় সূত্র।

ডিডি/এসএএইচ