দেশজুড়ে

ফরিদপুরে ‘বিক্রি’ করে দেওয়া সেই শিশু উদ্ধার

ফরিদপুরে ‘বিক্রি’ করে দেওয়া সেই শিশু উদ্ধার

ফরিদপুরে দেড় লাখ টাকায় ‘বিক্রি’ করে দেওয়া তানহা আক্তারকে (১) অবশেষে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। সোমবার (১২ মে) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর র‍্যাব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তানহা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটিকে নগরকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, পপি বেগমের সঙ্গে তালাক হওয়ার পর তার সাবেক স্বামী মো. কাইয়ুম বিশ্বাস তাদের শিশুকন্যা তানহাকে জোর করে তার কাছে রেখে দেন। পরে পপি বেগম মেয়েকে আনতে গেলে সাবেক স্বামী তানহাকে তার মায়ের কাছে দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় পপি বেগম আদালতে মামলা করেন।

তিনি জানান, পপি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এতে সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকলেও জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরে গত ২৮ এপ্রিল আদালত শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য নগরকান্দা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন।

Advertisement

পপি বেগম বলেন, গত ৬ মাস ধরে আমার বুকের মানিককে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে খুঁজে বেড়িয়েছি। আমার সন্তানকে কাছে পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। যারা সহায়তা করেছেন সবার প্রতি নামাজ পড়ে দোয়া ও মোনাজাতের কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন

সন্তানকে ‘বিক্রি’ করে দিয়েছেন বাবা, হন্যে হয়ে খুঁজছেন মা

এ ব্যাপারে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফর আলী বলেন, যৌথ অভিযানে বাচ্চাটি উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার আদালতে বাচ্চাটি পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ বিষয়ে জজ কোর্টের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন জানান, ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Advertisement

এর আগে বছর তিনেক আগে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামপাশা গ্রামের মানিক বিশ্বাসের ছেলে কাইয়ুম বিশ্বাসের সঙ্গে পপি বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কলহ শুরু হয় তাদের। তাদের সংসারে একটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়। এরমধ্যে গত পাঁচ মাস আগে মৌখিকভাবে তালাক বলে ওই শিশুকন্যাকে তার মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন কাইয়ুম বিশ্বাস। পরে শিশুটিকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা পপি বেগম ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

এন কে বি নয়ন/আরএইচ/এমএস