বিদ্যমান কাঠামো পুনর্গঠন করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য জারি করা অধ্যাদেশটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ।
Advertisement
শনিবার (১৭ মে) রিটের বিষয়টি আইনজীবী নিজে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে, সংবিধানের ২৬, ৩১ ও ২৯(১) অনুচ্ছেদের আলোকে ওই অধ্যাদেশটি কেন সাংঘর্ষিক এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের (দলগত) প্রস্তাব প্রকাশ করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া রুল বিচারাধীন অবস্থায় ওই অধ্যাদেশের কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। আইনসচিব ও অর্থসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে নতুন দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
Advertisement
‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ শিরোনামের ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্য আইন বাতিল, ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার এবং ২৯(১) অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।
রিটের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা না করেই তড়িঘড়ি করে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। অধ্যাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠনসংক্রান্ত ১৯৭২ সালের আদেশ (রাষ্ট্রপতির) বিলুপ্ত করা হয়েছে। এটা বাতিল করতে হলে যথাযথ ন্যায্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। রাজস্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন ছিল।
এফএইচ/এমএএইচ/
Advertisement