চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনটা ভালো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে দিন শুরুর পর মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে ৩০০ পেরিয়েছে স্বাগতিকরা। এরপরই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। উইকেট ঢেকে রাখা হয়েছে কভার দিয়ে।
Advertisement
৮৯.৪ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন ৩০৩ রান। মিরাজ ২১ আর তাইজুল অপরাজিত ১১ রানে। টাইগারদের লিড এখন ৭৯ রানের।
এর আগে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। এরপর ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা করে দেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান করেন তারা।
তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির সম্ভাবনা তৈরি করেও পারেননি দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা বিজয়। ৮০ বলে ৩৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে উইকেট হারান তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ভাগ্যের সহায়তা না পেয়ে মন খারাপ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বিজয়কে।
Advertisement
৩৯ রানের ইনিংসটিই ডানহাতি ব্যাটারের ক্যারিয়ারসেরা টেস্ট ইনিংস। এর আগে বিজয়ের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ২৩ রানের। যা ২০২২ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন গ্রস আইল্যান্ডে। এরপরই জাতীয় দলের লাল বলের ক্রিকেট থেকে বাদ পড়েছিলেন বিজয়।
দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি করেন সাদমান। ইনিংসের ৫৪তম ওভারে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার শেষ বলে বেন কারেনের হাতে ক্যাচ হন মুমিনুল হক। এতে জুটি ভাঙে। ৬৪ বলে ৩৩ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার।
পরের ওভারের প্রথম বলেই ব্রায়ান বেনেটের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সেঞ্চুরি সাদমান ইসলাম। টানা দুই বলে দুই সেট ব্যাটারকে হাঁরিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। বাঁহাতি টাইগার ব্যাটার করেন ১৮১ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১২০ রান। এটি সাদমানের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
সাদমান লাল বলে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান হারারেতে ২০২১ সালে। অর্থাৎ তার দুটি সেঞ্চুরিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টেস্ট ক্যারিয়ারে ২২তম ম্যাচে এসে বাঁহাতি ব্যাটার স্পর্শ করেন ১০০০ রানের মাইলফলকও।
Advertisement
এরপর ঝলক দেখান অভিষিক্ত লেগস্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। ৮ রানের মধ্যে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকের আলীকে তুলে নেন তিনি।
শান্তর আউট হওয়ার ধরন বরাবরের মতো প্রশ্নবিদ্ধ। শর্ট মিডউইকেটে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫৪ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান।
এরপর জাকেরও মাসেকেসার ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে ফিরতি ক্যাচ দেন। ১৩ বলে জাকের করেন ৫ রান। মাসেকেসার পরের ওভারেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম কাটা পড়েছেন রানআউটে। মিডঅনে ঠেলে দিয়েই দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন। সরাসরি থ্রোতে ননস্ট্রাইকের স্টাম্প ভেঙে দেন মাদভেরে। ৫৯ বলে মুশফিকের ৪০ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কার মার।
মাসেকেসার তৃতীয় শিকার হন নাঈম হাসান। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি ৩ করেই। এরপর অষ্টম উইকেটে খেলছেন মিরাজ আর তাইজুল।
এমএইচ/জেআইএম