টিকটকে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারের অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের মাহফুজা আক্তার ওরফে প্রজাপতি প্রমি (২২) নামের এক টিকটকারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ওই টিকটকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন স্থানীয় তিন সাংবাদিকসহ পাঁচ ব্যক্তি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন টিকটকার প্রজাপতি প্রমি।
Advertisement
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জিডির বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযুক্ত টিকটকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে জিডি নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দর্শনা থানায় জিডি করেন টিকটকার মাহফুজা আক্তার।
ভুক্তভোগীরা হলেন অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকা পোস্টের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি আফজালুল হক, স্থানীয় দৈনিক মাথাভাঙ্গার দর্শনা থানার বুর্যো প্রধান হারুন রাজু, স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নীলকণ্ঠের ডেস্ক ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন, যশোর থেকে প্রকাশিত গ্রামের কাগজ পত্রিকার জীবননগর উপজেলা প্রতিনিধি তুহিন উজ্জামান। এছাড়া মুহাম্মদ শাওমিন ও সাদিকুল ইসলাম নামের আরও দুই ব্যক্তি রয়েছেন।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে মাহফুজা আক্তার। সম্প্রতি তিনি ১ মিনিট ২ সেকেন্ডের জুয়ার ভিডিও তৈরি করে নিজের টিকটক আইডিতে আপলোড করেন। এরপর থেকে আলোচনায় আসেন তিনি।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আফজালুল হক বলেন, “গত পহেলা বৈশাখের দিন জেলা প্রশাসন থেকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে গণমাধ্যামকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওই অনুষ্ঠানে টিকটকার মাহফুজা আক্তার নৃত্য পরিবেশন করেন। নাচের ভিডিওটি আমার নিজস্ব পেজ ‘রেডিও চুয়াডাঙ্গার’ ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়। এরপর থেকেই জুয়ার বিজ্ঞাপনটি যে নৃত্য পরিবেশন করা ওই মেয়েটিই করেছেন সেটা প্রকাশ্যে আসে। তবে আগে থেকেই জুয়ার সাইটে প্রমোট করে বিজ্ঞাপনটি চলছিল।”
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি বলেন, ‘আমাদের দাবি থাকবে, জুয়ার বিজ্ঞাপনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ ধরনের ঘটনায় আমরা মর্মাহত। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জিডি প্রত্যাহার করতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলাকে তার সরকারি মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি কলটি কেটে দেন। পরে দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানাকে কল করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনলাম। খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Advertisement
হুসাইন মালিক/এসআর/এমএস