জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্রের সর্বপ্রথম দায়িত্ব ছিল। কিন্তু এই নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সামনে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেকের একটি বাসায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ জসীম উদ্দিনের মেয়ে (১৭) আত্মহত্যা করেন। তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্নিগ্ধ বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের নিরাপত্তার সর্বপ্রথম দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের। কিন্তু এই নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে। সেটাই আমরা প্রমাণ পেলাম শহীদ জসীম ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা দিয়ে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি এবং যত দ্রুত সম্ভব শহীদ জসীম ভাইয়ের মেয়ের ধর্ষণ মামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।
Advertisement
আরও পড়ুন:
জুলাই আন্দোলনে শহীদ জসীম উদ্দিনের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারমীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ আরও বলেন, কিছুদিন আগে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। চিকিৎসা চলছিল তার। এ সময় তার মানসিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন যখন জানতে পারে তারপর থেকেই সব ধরনের খোঁজ খবর অব্যাহত ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিভিন্নভাবে চিকিৎসক নিয়োগ করে মানসিক কাউন্সিল করা হচ্ছিল তার। শনিবার সন্ধ্যাও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের একটি টিম মেয়েটির সঙ্গে দেখা করে এবং তার সঙ্গে কথা বলে আসে। কিন্তু মেন্টাল হেলথ গুরুত্ব সহকারে দেখা না হলে ক্রমাগত খারাপের দিকে যেতে থাকে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে ওই তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে তিনি নিজেই বাদী হয়ে দুমকি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর থেকেই তিনি মারাত্মক মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। লজ্জা, চাপ ও বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। সর্বশেষ এসব চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন।
Advertisement
টিটি/এসএনআর/জেআইএম