২০০০ সালে যাত্রা শুরু। সেই থেকে চলতি বছরের মে মাস। এ পর্যন্ত রক্ত ও রক্ত-উপাদান সরবরাহের মাধ্যমে ১৭ লাখের বেশি মুমূর্ষ রোগীর পাশে দাঁড়াতে পেরেছে কোয়ান্টাম ল্যাব। এর মধ্যে এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত দুই যুগে সংগৃহীত মোট রক্তের চার ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৪ লাখ ইউনিটের বেশি রক্ত বা রক্ত-উপাদান সরবরাহ করে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের পাশে থাকতে পেরেছে কোয়ান্টাম।
Advertisement
গতকাল (১৩ মে) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী সঙ্ঘ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান আয়োজকেরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম।
কমপক্ষে ৩ বার রক্ত দিয়ে লাইফ লং, ১০ বারের দানে সিলভার, ২৫ বারে গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্ত দিয়ে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রধান অতিথি তাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন।
বক্তরা বলেন, রক্তদানের মতো মহৎ এ সেবার প্রতিদান কোনো মানুষের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এটি সদকায়ে জারিয়া। এর উত্তম প্রতিদান কেবল স্রষ্টাই দিতে পারেন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের কো-অর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান। এ সময় কোয়ান্টাম মেথডের প্রবর্তক শহীদ আল বোখারী মহাজাতকের পক্ষ থেকে সকল স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে রক্তদানের অনুভূতি বর্ণনা করেন ২৫ বারের গোল্ডেন রক্তদাতা শফিউর রহমান সাইফ ও লাইফ লং স্বেচ্ছা রক্তদাতা সামিয়া হক তৃষা। এ সময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের দেওয়া রক্তপ্রাপ্তির অনুভূতির কথা তুলে ধরেন নিয়মিত রক্তগ্রহীতা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত আসিফা আহসান। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্ত চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে তরুণ স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মানবিক এ সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আলোচকরা।
আরএমডি/জিকেএস