আন্তর্জাতিক

বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমের মুক্তি, হুগলির বাড়িতে উচ্ছ্বাস

বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমের মুক্তি, হুগলির বাড়িতে উচ্ছ্বাস

দফায় দফায় পতাকা বৈঠকের পর টানা ২১ দিন পর দেশে ফিরলেন পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। বুধবার (১৪ মে) বেলা ১১টার দিকে আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরেন তিনি। আর এই খবরে খুশির হাওয়া বইছে পূর্ণমের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার রিষড়ার গ্রামের বাড়িতে। চলছে মিষ্টি মুখ।

Advertisement

মিষ্টি বিনিময় চলাকালীন পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউকে ফোন দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দীর্ঘক্ষণ কথা হয় তাদের। রজনীকে ফোনকলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার ভাই ভালো আছে? রজনী উত্তর দেন, হ্যাঁ, উনি চলে এসেছে।

মমতা ব্যানার্জি পূর্ণমের পরিবারের সবাইকে শুভকামনা জানিয়ে বলেন, আমার অনেক শুভকামনা থাকলো। এবার একটু হাসিতে থাকুন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কথা বলার পর পূর্ণমের স্ত্রী রজনী বলেন, সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন, দেশের ভাই চলে এসেছে। চিন্তা করো না। আমাকে বলেন, আপনি আমার বোনের মতো কোন চিন্তা করবেন না।

Advertisement

রজনী সাউ আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আমাকে আগেই বলেছিল, আপনি অন্তঃসত্তা কোথাও যেতে হবে না । আমি এক সপ্তাহর মধ্যেই সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।'কিন্তু সবার চেষ্টাতে আমার স্বামী পাঁচ দিনের মধ্যেই আমার স্বামী দেশে ফেরত এসেছে। এটা আমার কাছে খুব আনন্দের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, শারীরিক দিক থেকে আমার স্বামী সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। তার সঙ্গে আমি ভিডিও কলে কথাও বলেছি। এই ২১টা দিন খুব ভয়ানকভাবে দিন আমি কাটিয়েছি,আজকে আমার খুশির দিন।

ছেলের মুক্তিতে বাবাও খুশিতে আত্মহারা। পূর্ণম কুমারের বাবা ভোলানাথ সাউ বলেন, আজকে আমার ছেলে দেশে ফিরেছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি চাই, দেশ রক্ষার্থে আমার ছেলে ফের আরেকবার সীমান্তে গিয়ে তার কাজ করুক।

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পূর্ণম কুমার সাউ-য়ের মুক্তিতে তার পরিবারের সবাইকেই শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পূর্ণম কুমার সাউ সুস্থ রয়েছেন। তার গোটা পরিবার ভালো থাকুক।

Advertisement

গত ২৩ এপ্রিল ভারতের জম্বু-কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুক হামলার পর পাঞ্জাবের পাঠানকোটে কর্মরত অবস্থায় ভুল করে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে চলে যান পূর্ণম। সেসময় তাকে আটক করে পাকিস্তান রেঞ্জার। সেদিন থেকেই পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের কাস্টডিতে ছিলেন তিনি।

ডিডি/এসএএইচ