স্বাস্থ্য

টিকাদান প্রকল্পে বরাদ্দ জনবলের ৪০ শতাংশ পদই শূন্য

টিকাদান প্রকল্পে বরাদ্দ জনবলের ৪০ শতাংশ পদই শূন্য

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে শহর ও গ্রামে টিকাদান প্রকল্পে বরাদ্দকৃত জনবলের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ পদ এবং ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) সদর দপ্তরে ৪৩ শতাংশ পদ এখনো শূন্য রয়েছে। এছাড়া বরাদ্দকৃত জনসংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। আরবান ইমিউনাইজেশন স্ট্র্যাটেজি-২০১৯ এবং ইপিআই মাইক্রোপ্ল্যান-২০২৪ অনুসারে প্রতি পঞ্চাশ হাজার জনসংখ্যার জন্য ৬ জন টিকাদানকর্মী প্রয়োজন, যা বাংলাদেশে এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি।

Advertisement

সোমবার (২১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০২৪ সালে করা ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ গবেষণায় উঠে আসা এসব তথ্য সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ গবেষণার মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুসারে টিকাদানকেন্দ্রের অসম বণ্টন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে দুর্গম এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যে সংখ্যায় টিকাদানকেন্দ্র থাকা দরকার সেই সংখ্যক টিকাদানকেন্দ্র নেই। টিকাদান কর্মসূচি সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য বাজেট বরাদ্দে দেরি হচ্ছে। আগামী ২ বছরের জন্য হেলথ সেক্টর প্ল্যান প্রস্তুত হচ্ছে। এর ফলে টিকা ক্রয়, টিকা পরিবহন এবং বণ্টনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ২০২৯ সালের পর গ্যাভি টিকাদান প্রকল্পে সহায়তা বন্ধ হয়ে গেলে সরকারকে নিজস্ব অর্থায়নে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে। শহর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ভ্যাকসিনের অপর্যাপ্ততা টিকাদানের লক্ষ্য অর্জনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ইপিআই এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে অক্টোবর ২০২৪ সাল পর্যন্ত টিকায় বাজেট বরাদ্দ থাকলেও বিশেষ কিছু অ্যান্টিজেন যেমন পিসিভি, ওপিভি এবং এমআর টিকার সংকট দেখা যাচ্ছে। টিকাদান কর্মীদের নিয়োগের পর টিকাদান বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও রিফ্রেসার প্রশিক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই।

Advertisement

প্রেস কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিরেক্টর এবং লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ, ইপিআই এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

এনএস/এমএইচআর/এএসএম