তৃতীয় উইকেটে ৫২ রানের জুটি করে বাংলাদেশকে কিছুটা এগিয়ে দিয়েছিলেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ২ উইকেটে দলীয় ৮৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে গিয়েছিলেন তারা। তবে বিরতি থেকে ফিরে এসে বেশিক্ষণ টেকেননি শান্ত। যোগ করতে পেরেছেন মাত্র ১০ রান।
Advertisement
৬৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন শান্ত। দলীয় রান তখন ৯৮। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মাধেভেরের হাতে ক্যাচ হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এতে ভেঙে যায় ৬৬ রানের জুটি। এরপর মুমিনুলের সঙ্গে নতুন ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের জুটি হয় মাত্র ২৫ রানের।
১৮ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরেছেন মুশফিক। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে শর্ট মিড উইকেটে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪১ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেটে ১২৫ রান। মুমিনুল ৪৬ ও জাকের আলী ০ রানে অপরাজিত আছেন।
Advertisement
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। বল ব্যাটে আসছে, সেটিও বোঝা যায়। দুই-তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান এবং উইকেটে সেটও হন তারা। তবে টিকতে পারেননি দুজনের কেউই। আউট হন মাত্র ১ রানের ব্যবধানে।
দলীয় ৩১ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ে পেসার ভিক্টর নুয়াইসির ডেলিবারিতে ব্যাটের বাইরের কাণায় বল ছুঁইয়ে গালি অঞ্চলে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ক্যাচ হন সাদমান। ২৩ বলে ১২ রান করেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।
১ রান যোগ হতেই উইকেট বিলিয়ে দেন আরেক ওপেনার জয়ও। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে তাকেও ফেরান নুয়াইসি। সাদমানের মতো জয়ও ব্যাটের বাইরের কাণায় বল লাগিয়ে উইকেটরক্ষক নিয়াশা মায়াভোর হাতে ধরা পড়েন। ৩৫ বলে ১৪ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার।
অর্থাৎ দলীয় ৩২ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরই তৃতীয় উইকেটে ৫২ রানের জুটি করে প্রাথমিক বিপদ কাটান মুমিনুল ও শান্ত।
Advertisement
এমএইচ/এমএস