দেশজুড়ে

বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ছিল চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের প্রেরণা

বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ছিল চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের প্রেরণা

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতারা বলেছেন, শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ এবং মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ছিল চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের প্রেরণা। আজ বৃটিশ নেই, পাকিস্তানও নেই। কিন্তু শোষনমূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুঁজিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে শোষণ বৈষম্য উচ্ছেদ হয়নি।

Advertisement

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের ৯৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলে সূর্যসেনের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পমাল্য অর্পণকালে এসব কথা বলেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য হেলাল উদ্দিন কবির, আহমদ জসীম, মহিলা ফোরাম আহ্বায়ক জোবায়ের বীনা, সদস্য সুপ্রীতি বড়ুয়া, প্রগতিশীল শিল্প ও গণমাধ্যমকর্মী ফোরামের সংগঠক পার্থ প্রতীম নন্দী প্রমুখ।

আরও পড়ুন শুধু বিএনপির কথায় নির্বাচন হবে না: ইসলামী আন্দোলন  বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার অঙ্গীকার পাকিস্তানের 

পুষ্পমাল্য অর্পণকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ এ দেশের মুক্তি আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গৌরবময় ঘটনা। বৃটিশ রাজত্ব থেকে এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য মাস্টারদা সূর্যসেন ও তার সহযোগীরা আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন। মাস্টারদা সূর্যসেনের স্বপ্ন ছিল একটা শোষণ, বৈষম্যহীন, স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব দেশ প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৩০ সালে ১৮ এপ্রিল ৪ দিনের জন্য চট্টগ্রামকে স্বাধীন ঘোষণা করে তিনি দেশের মানুষের প্রতি সেই আহ্বান জানিয়েছিলেন।

Advertisement

তারা বলেন, আজ বৃটিশ নেই, পাকিস্তানও নেই। কিন্তু শোষণমূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুঁজিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে শোষণ বৈষম্য উচ্ছেদ হয়নি। গণভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে দেশের মানুষ সরকারের পরিবর্তন ঘটালেও সিন্ডিকেট, লুটপাট, নারী নির্যাতন, শ্রমিক শোষণ, রাষ্ট্রের কালাকানুন প্রয়োগ বন্ধ হয়নি। স্বাধীনতার পর ধনিকশ্রেণির স্বার্থে দেশ পরিচালিত হওয়ায় একের পর এক এই সংকট তৈরি হয়েছে।

এমডিআইএইচ/কেএসআর/জিকেএস