অর্থনীতি

গ্রামীণ ব্যাংকে মালিকানা কমলো সরকারের, বাড়লো সুবিধাভোগীদের

গ্রামীণ ব্যাংকে মালিকানা কমলো সরকারের, বাড়লো সুবিধাভোগীদের

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে করে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনে সরকারের মালিকানা কমে সুবিধাভোগীদের মালিকানা বেড়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এদিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

রিজওয়ানা হাসান জানান, এ সংশোধনের মাধ্যমে আগে গ্রামীণ ব্যাংক শুধু ভূমিহীনদের জন্য কাজ করতো। এখন বিত্তহীনদের একটা সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পরিসর থেকে বের হয়ে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বোর্ডের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যারা এটার বেনিফিশিয়ারি তাদের মধ্য থেকে ৯ জন নির্বাচিত হয়ে আসবেন এবং এই নয়জনের মধ্য থেকে আবার তিনজন মনোনীত হবেন এবং এই তিনজনের মধ্যে থেকে একজন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হবেন।

আগে পরিশোধিত মূলধন ছিল সরকারের ২৫ শতাংশ ও সুবিধাভোগীদের ৭৫ শতাংশ। কিন্তু এখন তা হয়েছে সরকারের ১০ শতাংশ ও সুবিধাভোগীদের ৯০ শতাংশ।

Advertisement

এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের জনস্বার্থ সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন ২০১৫ অনুযায়ী এই ব্যাংককে একটি জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করার একটা বিধান আনা হয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আগে যখন গ্রামীণ ব্যাংক কাজ করতো তখন একটা মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করতো। সেই মূল্যবোধটা হলো ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগী তাদেরই প্রাধান্য থাকতো। বিগত সরকারের আমলে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হয়েছিল এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় তার যে দর্শন ছিল সেখান থেকে সরিয়ে বহুলাংশে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এমইউ/এএমএ/জেআইএম

Advertisement