দেশজুড়ে

মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহে মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় ইয়াসিন আলী স্বপন (৩৫) নামে বিএনপির এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। শুক্রবার (৯ মে) ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

Advertisement

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর আকুয়া মড়লবাড়ি গন্দ্রপা মালবাড়ি এলাকায় তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

ইয়াসিন আলী স্বপন একই এলাকার রজব আলীর ছেলে। তিনি আনন্দ মোহন কলেজে কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি ওই এলাকায় একটি মুদি দোকান চালাতেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালে ইয়াসিন আলী স্বপনের চাচা পারভেজকে মাদক কারবারি দিলীপ ও তার সহযোগীরা হত্যা করে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দিলীপ কারাগারে ছিলেন। আনুমানিক একবছর আগে জামিনে ছাড়া পান তিনি। এরপর থেকে মাদক ব্যবসা ও এলাকায় এক আতঙ্কের নাম ছিলেন দিলীপ। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে স্বপনের দোকানে তার চাচাতো ভাই আমির হোসেনকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি রাজি না হলে দিলীপ ও তার লোকজন আমির হোসেন ও স্বপনকে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোরে মারা যান স্বপন।

Advertisement

স্বপনের আরেক চাচাতো ভাই আরাফাত বলেন, মামলা তুলে নিতে দিলীপ ও তার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিলেন। রাজি না হলে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা করে দিলীপ।

নিহত স্বপন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকনের বেল্টে রাজনীতি করতেন। বক্তব্য জানতে রোকনুজ্জামান সরকার রোকনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/আরএইচ/এএসএম

Advertisement