রাজধানীর গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে বিরোধের জেরে সড়ক অবরোধ করেছেন পিকআপ চালক ও শ্রমিকরা। পুলিশ বলছে, একটি পিকআপের লুকিংগ্লাস নষ্ট থাকায় গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশের ওপর ক্ষেপে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার পর সড়ক অবরোধ করেন তারা। দুপুর ১২টার পর অবরোধ তুলে নেন তারা। অবরোধের ফলে গাবতলী হয়ে কোনো গাড়ি বের হতে পারেনি, ওই পথে কোনো গাড়ি রাজধানীতে ঢুকতেও পারেনি।
নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই প্রবেশ পথে যান চলাচল বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়ছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে।
জানা গেছে, ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট একটি পিকআপে লুকিংগ্লাস না থাকায় কাগজপত্র যাচাই করেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য পিকআপ চালককে মারধর করেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যেই হাতাহাতি হয়।
Advertisement
অবস্থা বেগতিক দেখে গাবতলীতে দায়িত্বরত সব পুলিশ সদস্য ওই এলাকা ত্যাগ করেন। পরিবহন শ্রমিকরা তখন রাস্তার ওপর আড়াআড়ি গাড়ি রেখে অবরোধ করেন।
আরও পড়ুন
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, পথে পথে মানুষের ভোগান্তি সারাদেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেলপথ ব্লকেড আজ সাড়ে ৪ ঘণ্টা পরও সড়ক ছাড়েননি শিক্ষার্থীরা, যানজটে ভোগান্তি চরমেজানতে চাইলে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইয়াসমিনা ফেরদৌস জাগো নিউজকে বলেন, একটি পিকআপের লুকিংগ্লাস নষ্ট ছিল। চালককে সিগন্যাল দিয়ে তার গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান একজন সার্জেন্ট। এতে চালক ক্ষুব্ধ হয়ে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। পরে গাবতলী থেকে আরও পিকআপ চালক এসে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে পিকআপ চালক ও শ্রমিকরা মিলে গাবতলী সড়ক অবরোধ করে রাখেন। অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্য ও অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে দুপুর ১২টার পর অবরোধ তুলে নেন তারা।
Advertisement
ইয়াসমিনা ফেরদৌস আরও বলেন, বর্তমানে সড়ক অবরোধ নেই। তবে দীর্ঘক্ষণ অবরোধের ফলে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে।
টিটি/ইএ/জিকেএস