জাতীয়

‘যে কয়দিন বাঁচি তার স্মৃতি নিয়ে থাকতে দিক’

‘যে কয়দিন বাঁচি তার স্মৃতি নিয়ে থাকতে দিক’

‘বাড়িটা খুব পছন্দ করতেন কবি রফিক আজাদ। এখান থেকে তার লাশ গেছে। আমি এটাই চেয়েছিলাম যে, অন্তত আমি যে কয়দিন বাঁচি, আমাকে এখানে তার স্মৃতি নিয়ে থাকতে দিক। এখান থেকে আমার লাশ চলে গেলে সন্তানরা কখনোই এই বাড়ি দাবি করতে আসবে না। এত বড় দেশে কত জায়গা পড়ে আছে, এই জায়গাটাই তাদের দরকার?’

Advertisement

কথাগুলো বলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত কবি রফিক আজাদের স্ত্রী, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিলারা হাফিজ।

রাজধানীর ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কে অবস্থিত ১৩৯/৪ নম্বর প্লটে তাদের বসবাসরত বাড়িটি ভেঙে ফেলছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাড়ির একাংশ ভাঙা হয়েছে। সেই সঙ্গে একই প্লটে অবস্থিত পাশের তিনটি বাড়িও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ উচ্ছেদের জন্য দেওয়া হয়েছে মৌখিক নোটিশ।

Advertisement

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৩৯/৪ নম্বর প্লটটি এক বিঘার মতো। এখানে চারটি বাড়ি ছিল। সরকারি পরিত্যক্ত এই প্লটে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে ফ্ল্যাট বরাদ্দও হয়ে গেছে।

প্লটের ৫ কাঠা জায়গা রফিক আজাদের স্ত্রী দিলারা হাফিজের নামে বরাদ্দ ছিল। শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক হিসেবে বাড়িটির বরাদ্দ পেয়েছিলেন তিনি। দিলারা হাফিজ মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ এবং সর্বশেষ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর অবসর নেন। ২০১৮ সালে তার নামে বরাদ্দ বাতিল করা হয়।

চারটি বাড়ির একটির বরাদ্দ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক নিলুফার সুলতানের নামে, একটি এস জেড মজুমদারের পরিবারের নামে, আরেকটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী খোরশেদ আলমের নামে বরাদ্দ। তবে তারা কেউ সেখানে থাকেন না। দক্ষিণ–পশ্চিম পাশের বাড়িতে শুধু কবি রফিক আজাদের স্ত্রী বসবাস করতেন।

উচ্ছেদের পেছনে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আগ্রহ বেশি বলে অভিযোগ তুলেছেন অধ্যাপক দিলারা হাফিজ। গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দিকে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এখানে ১০ তলা ভবন হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। আর সেখানে চেয়ারম্যানের বন্ধু-বান্ধব অনেকেই এখানে ফ্ল্যাট নেবেন বলে টাকা দিয়ে রেখেছেন।

Advertisement

দিলারা হাফিজের গাড়িচালক মো. জয়নাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘বুধবার সকাল ৮টার দিকে সিভিল পোশাকে দুজন লোক এসে র‌্যাবের পরিচয় দেন। এরপর আমরা তাদের কার্ড দেখতে চাইলে কার্ড দেখান। পরে তারা বলেন এখানে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। তারা বাইরে অপেক্ষা করেন। এর পরপরই গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কয়েকজন লোক আসেন। এরপর পুলিশ, বুলডোজার নিয়ে লেবার আসেন। এসে এই রুমের চাবি চেয়েছেন, কেউ চাবি দেইনি। পরে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু করেন।’

আরও পড়ুন

বগুড়ায় টিএমএসএসের কবল থেকে সরকারি জমি উদ্ধার, স্থাপনা উচ্ছেদ বিসিসির নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে মালামাল লুট বিএনপি নেতার আগারগাঁও-উত্তরায় ফুটপাত থেকে ৪০০ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

দিলারা হাফিজের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের মৌখিকভাবে কয়েকদিন সময় দিয়েছে। বলেছে এরপর ভেঙে ফেলবে। কোনো নির্দিষ্ট সময় দেয়নি। যে কোনো দিন এসে ভাঙতে পারে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে তিনটি বাড়ি ভাঙা হয়েছে তাদের মধ্যে একটি মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবার হিসেবে অ্যালটমেন্ট পেয়েছিল। তিনি সর্বশেষ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি মারা গেছেন, তবে তার পরিবার এখানে থাকতো।

পরিত্যক্ত সরকারি আবাসন হিসেবে এই বাড়িগুলো আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে দিলারা হাফিজ বলেন, ‘১৯৮৮ সালে আমি বরাদ্দ পেয়েছিলাম। তখন থেকে রফিক আজাদ, আমি এবং আমাদের দুই সন্তান এখানে বসবাস করছি। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১২ সালে শুনি যে একটি চক্র পাকিস্তানি সাজিয়ে এস নেহাল নামের একজনের মাধ্যমে হাইকোর্ট থেকে এই বাড়িটি তার নামে ডিক্রি (মালিকানা) নিয়ে নিয়েছে। তখন আমরা খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম যে বাড়িটি আমাদের ছেড়ে দিতে হবে। আমরা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে জানালাম, গৃহায়নকে জানালাম।’

‘তখন গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ আমাদের পরামর্শ দিলো আপনারা সরকারের পক্ষভুক্ত হয়ে যারা আছেন তারা কেস (মামলা) করেন। তখন আমরা চার পরিবার গিয়ে জজকোর্টে কেস করে বললাম এটা সরকারি বাড়ি, আমরা সরকারের অ্যালটমেন্ট হিসেবে আছি। তখন আমরা নিজেরা অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে সরকারের পক্ষ হয়ে কেসটা চালিয়ে গেছি। এর মধ্যে ২০১৬ সালে রফিক আজাদ মারা গেলেন। ১৭ সালে তার ৭৫তম জন্মদিন পালন করি এই বাড়িতে। তখন থেকে সবাই বাড়িটিকে রফিক আজাদ প্রাঙ্গণ বলে ডাকতে শুরু করলো। এই নামে এখানে অনেক কবিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে।’

দিলারা হাফিজ বলেন, ‘এরপর ২০১৮ সালে গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের কাছে আমি একটা আবেদন করলাম যে, এখানে আমরা এ ধরনের কর্মসূচি করছি, রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদ নামে একটা পর্ষদ গঠন করেছি। এই বাড়িতে বসেই অনেক রচনা লিখেছেন। তার আত্মজীবনীসহ অনেক কবিতার বই এখানে সৃষ্টি হয়েছে। যদি তার পর্ষদের নামে এই জায়গাটুকু মানে আমি যেটুকু জায়গার মধ্যে আছি (৪-৫ কাঠা), এই জায়গাটুকু আমাদের দিলে আমরা একটা স্মৃতি জাদুঘর করবো। তারপর এটার কোনো উত্তর আসে না। এভাবেই চলতে থাকে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে আমাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করে। কারণ আমি এলপিআরে চলে যাই। এলপিআরে চলে গেলে সাধারণত আমরা ১০০ শতাংশ পেনশন পাই। কিন্তু সরকারি বাড়ি না ছাড়া পর্যন্ত আমি ১০০ শতাংশ পেনশনটা পাবো না, ৮০ শতাংশ পেতে পারি। কিন্তু ২০ শতাংশ পেনশন সরকারি কোষাগারে এখনো জমা আছে।’

‘তখন আমার ছেলে একটা আবেদন করলো এবং হাইকোর্ট থেকে একটা স্টে অর্ডার নিয়ে আমরা সরকার বরাবর আবেদন করেছি, সেই আবেদনের জবাব না আসা পর্যন্ত আমাদের এখানে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হোক। সেখানে একটা স্টে অর্ডার দিলো, এটা হাইকোর্টের ছিল। এটা এক মাস আগে বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে সরকারের সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে নেহালের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিলাম সেই মামলা কিন্তু আমি চালিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আবার পুনরায় মামলা করেছিলেন, আমরা সেসবের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছিলাম। সেখানে আমার জজ কোর্টে স্টে অর্ডার ছিল। এখনো আমার কাছে জজ কোর্টের স্টে অর্ডার আছে, তারপরও আমাকে কেন এভাবে উচ্ছেদ করা হচ্ছে?’ বলে জানতে চান দিলারা হাফিজ।

আরও পড়ুন

১৩ বছর আগে চাকরিচ্যুত কর কর্মকর্তাকে পুনর্নিয়োগ দিলো ডিএসসিসি! বন কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকিতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জিডি মানবেন্দ্রের বাড়িতে আগুনের ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে প্রশাসন

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক দিলারা হাফিজ বলেন, “সবচেয়ে বড় কথা তারা আমাকে উচ্ছেদের কোনো চিঠি দেয়নি। মাসখানেক ধরে রাত ৮-১০টার সময় পুলিশ এসে বলে তদন্ত করবো, এখানে কে কে আছে? এসব করতে শুরু করে দিলো। আমি গৃহায়নের চেয়ারম্যানের কাছে গেলাম। তাকে বললাম দেখুন আমি একজন অধ্যাপক। শিক্ষাবিদ হিসেবে আমি দেশের জন্য কাজ করেছি। কিন্তু আমি এটা ডিজার্ভ করি না। আপনি আমাকে না জানিয়ে, পুলিশ রাত ৯টা, ১০টার সময় আমার বাড়িতে যাবে। যখন যা হয় তাই করবে, এভাবে এটা তো হয় না। আমার প্রতি এই অবিচার করাটা ঠিক না। তিনি (গৃহায়নের চেয়ারম্যান) বলেন, ‘কোথায়? আমি তো জানি না।’ আমি বললাম, আমার ৬৯ বছর বয়স, আমি আর এত যুদ্ধ করতে চাই না। আপনারা আমাকে কিছুদিন সময় দেন।”

দিলারা হাফিজ বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে পুলিশ এসেছে একটা চিঠি নিয়ে। সেটা আমাদের দেখায়ওনি। তারা এমনভাবে এমন সময় এসেছে যেন আমরা কোনো ধরনের আইনের আশ্রয় না নিতে পারি। আর এদিকে তো হুমকি-ধামকি নানাভাবে আছেই।’

‘এর আগেই পরিচিত লোকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এমনটা বলছে যে কিছু টাকা-পয়সা দাও, তাহলে মেয়াদটা (বাড়িতে বসবাসের) বাড়িয়ে দিতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘এটা যে আজ ভেঙে দিলো আর আমাকে এসে বলে গেলো আপনাদেরটা আমরা এখন কিছু করছি না। কিন্তু কয়দিনের জন্য করছে না সেটাও বলেনি। এই বাকি দুইটা এমনভাবে ভেঙে গেলো, এখানে কি আর বসবাস করার কোনো সুযোগ আছে? আমার গ্যাসের লাইন বন্ধ, বিদ্যুৎসংযোগ ছিল না, সেটা আসলো। এই চারটা বাড়ির সব সংযোগ একসঙ্গে ছিল। দেয়াল ভেঙে দিয়েছে, বাড়ির গেট ভেঙে দিয়েছে, এখানে কি আমি একলা মহিলা মানুষ বসবাস করতে পারবো? তারা কি আমাকে সম্মান দেখিয়ে আমার বাড়িটা না ভেঙে গেলো? এখানে কি আমার আর কোনো সম্মান অবশিষ্ট থাকলো? কাজেই এখানে আমার আর কিছু বলার নেই।’

এই বাড়ি যিনি নিজের দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন, তিনি এসব করাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে দিলারা হাফিজ বলেন, ‘সেটা মনে করছি না। কারণ আমি প্রকাশ্যে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নিয়ে যে পরিমাণ আগ্রহ দেখছি এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি যেটা বুঝেছি, তাতে গণপূর্তও বিষয়টি নিয়ে এত আগ্রহী না। তারা (গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ) আমাকে অন্য কথা বলেছে। আমি যখন সচিবের কাছে গেছি, সচিব জয়েন্ট সেক্রেটারিকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি তখন সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। তখন তারা আমাকে বলেছেন যে একটা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যে এ রকম বাড়ি যেগুলো আছে, সেগুলো ভেঙে ১০তলা করে করা হবে। কিন্তু এখন আমাদের ফান্ডে টাকা নেই। আমরা আপাতত দুই/তিন বছরের মধ্যে এটা করতে পারবো না। আপনারা চাইলে থাকতে পারবেন। এভাবে আমাকে বলেছে পাঁচদিন আগে। তাদের (গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ) অতিক্রম করে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি।’

তিনি বলেন, ‘গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিজে আমাকে বললেন তাদের বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই টাকা দিয়ে রেখেছেন, এখানে ফ্ল্যাট নেবেন। এখানে ১০তলা ফ্ল্যাট হবে। তখন আমি তাকে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে, মানলাম আপনারা এত বড় প্রকল্প নিয়েছেন, আমার এই ৫ কাঠা জায়গা, এখান থেকে দেওয়া সম্ভব না। কিন্তু আপনি তো বলতে পারতেন, ঠিক আছে আপা আপনাকে আমরা একটা ফ্লোর দিচ্ছি। যেহেতু আমি রফিক আজাদের স্মৃতি পর্ষদের জন্য চাচ্ছি। সেহেতু এই ফ্লোরটা আপনারা রাখেন, তার একটা জাদুঘর করেন। সেটাতো আপনারা রাখলেন না। তিনি তো দেশের একজন কবি। এই দেশটা স্বাধীন করেছেন তিনি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আজ স্বাধীন দেশে দাঁড়িয়ে আপনারা যে আইন প্রয়োগ করছেন, সেই দেশটায় কিন্তু তাদের অবদান আছে। এটা যে আপনারা এভাবে ভুলে যান, এটা খুব কষ্টের ব্যাপার।’

দিলারা হাফিজ বলেন, “তার (কবি রফিক আজাদের) কবিতা তো ব্যবহার হচ্ছেই। ‘ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাবো’। এই সময়েও এই কবিতা ব্যবহার হচ্ছে। জামায়াত- বিএনপি সবাই এই কবিতা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ব্যবহার করে। এই কবিতা নিয়ে রফিক আজাদকে এত কষ্টকর একটা বিষবাষ্পময় জীবন কাটাতে হয়েছে, তিনি কোনো দিক থেকেই কখনো শান্তিতে ছিলেন না এই কবিতার জন্য। এই যে এত বড় একটা আন্দোলন হলো সেখানেও তার কবিতাটা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের এমন দিনও গেছে যে ছেলেমেয়েরা না খেয়ে জীবন কাটিয়েছে। আমি তিন-চারটা টিউশনি করেছি। রফিক আজাদের চাকরি নেই। তাও আমি কোথাও মাথানত করিনি।’

কেআর/ইএ/এমএমএআর/এমএস