নোয়াখালীর সেনবাগে বিএনপি নেতাদের গোশত ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সানাউল্লাহকে শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
Advertisement
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের ফেসবুক পেজে দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতির পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম সই করা এ সংক্রান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রকাশ করা হয়।
মো. সানাউল্লাহকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, ‘সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ১৯ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।’
এর আগে গত ১ এপ্রিল রাতে সেনবাগ থানার মোড়ে এক পথসভায় বক্তব্যে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন বিন্নাগনিকে মাইনাস করে, বিন্নাগনির ছেলেপেলেদের ওপর আক্রমণ করে আপনারা আপনাদের গায়ের গোশত ঝাড়বেন, আমরা আপনাদের গোশত ছিনিয়ে নিয়ে আসবো। যদি আমাদের আর একটা নেতা-কর্মী, ছেলের গায়ে বিএনপির নামধারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে সেই হাত আমরা কেটে নেবো।’
Advertisement
এতে তিনি আরও বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও আমার এলাকা বিন্নাগনির মানুষের ওপর হামলা নির্যাতন হয়েছে। এখন আবারও হামলা করতে বিএনপি নামধারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সক্রিয় হয়েছেন। আমার কোনো ভাইয়ের ওপর, আমাদের কোনো নেতা-কর্মীর ওপর যদি কেউ আক্রমণ করার দুঃসাহস দেখান, আপনারা বিএনপি নয়, যত বড় বিএনপি হন, যত বড় আওয়ামী লীগের দালাল হন, আপনাদের আমরা একবিন্দু পরিমাণও ছাড় দেবো না।’
সানাউল্লাহ দাবি করেন, ‘বিগত ১৬টি বছর এই অর্জুনতলার লোকজন বিন্নাগনিকে ফিলিস্তিন বানিয়ে রেখেছে। কিছু হলেই বিন্নাগনি আক্রমণ। কিছুই হলেই বিন্নাগনির ছেলেদের নামে, নেতাদের নামে মামলা। ১৬ বছর আমরা ঠিকমতো ঘরে ঘুমাইতে পারিনি। অর্জুনতলার নেতৃত্বে ২০১৮ সালে আমাদের বিন্নাগনি কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের আন্দোলনের পরে আমাদের অনেক নেতা-কর্মীর গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। আমরা তখনো বিচার চাই নাই, এখনো বিচার চাই না।’
জানা গেছে, সেনবাগ বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। একপক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক চিফ হুইফ জয়নুল আবেদীন ফারুক ও অপর পক্ষে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান। ছাত্রদল নেতা মো. সানাউল্লাহ জয়নুল আবেদীন ফারুকের অনুসারী। তিনি সেনবাগ পৌরসভার বিন্নাগনি এলাকার বাসিন্দা।
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এমএস
Advertisement