ড. মো. অলিউর রহমান
Advertisement
কাব্যকথার যে উষ্ণতায় তুমি বেঁচে থাকো, বাঁচিয়ে রাখো—তার কবোষ্ণ ছোঁয়ায় সেথা গড়ে উঠছে এক প্রশান্ত পৃথিবী।সহসা হাঁটু-কোমর ব্যথায় জমে ওঠে যে গল্পের ভার—সবই তো সঞ্জীবন, সবই যে সুধা হবে তাঁর একান্ত আপন।একাকিত্বে তোমাকে সঙ্গ দেবে সেনিভৃতে হতে পারে না শাস্তি তোমার।
সূচিত হোক না—নতুন এক প্রতিধ্বনিপায়ে পায়ে সুদূর গন্তব্যে পথ চলার!বয়সের ছাপে লেখা কোনো অভিজ্ঞতায় নয়কুঁচকে যাওয়া ত্বকের ইতিহাস ফলকেও নয়;চিন্তনে ও যাপনে জীবন যেখানে চির সবুজশরীর-মন ক্লান্ত হবে না যেখানে তোমারখুঁজে পাবে তুমি একান্ত প্রশান্তি সম্ভার।
ওখানে জীবন স্নিগ্ধ-সুন্দর-অনাবিলআত্মজ-বন্ধনের দ্বিধাচিত্তে অভাবিত সংযোজন?একদমই সে তো তুমি নও—নও তুমি অগ্রন্থিত কবিতাখানি। কবি, তুমি এক সম্পূর্ণ কাব্য-সরোবর; তোমার শব্দ-শিহরণে আছে বাঁচার অমৃত সুখ, আমার প্রতিটি কাপের ধোঁয়া ওঠা চায়ে সেই মায়াবী গল্পমুখ চুমুকে চুমুকে যেথা উষ্ণতা পায় প্রতীক্ষিতের তৃষিত প্রহর।
Advertisement
হয়তো একদিন সাথীয়-সেতুর উদ্বোধনে ভেঙে যাবে অযাচিত সব মানব দেওয়ালঅনায়াসে কেটে যাবে সমূহ-আশঙ্কার বিষণ্ণ মেঘগল্প-কবিতার কবোষ্ণ ছোঁয়ায় জীবন যেখানে উদযাপন-উন্মুখ; সেখানে কারও জীবনের বোঝা হবে না তুমি কোনোদিন—দেখে নিও, প্রণয়ের বৃক্ষ-বীজ একদিন হয়ে উঠবে মহীরুহসায়াহ্ন আলোকে রচিত সে অধ্যায় টইটুম্বুর সমানুভূতি-ভাস্বর।
এসইউ/জিকেএস