নিকো উইলিয়ামসকে দলে ভেড়াতে পারলে দারুণ একটি জুট গড়ে তুলতে পারতো বার্সেলোনা। নিশ্চিতভাবেই লামিন ইয়ামালের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া হতো নিকোর। দুই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডকে একত্রে পেলে আরও শক্তিশালী হতো বার্সার আক্রমণভাগ।
Advertisement
সে লক্ষ্যে সবকিছু বেশ ভালোভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো কাতালান ক্লাবটি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গেল। বার্সাকে পাশ কাটিয়ে অ্যাতলেতিক বিলবাওয়ের সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদী এক নতুন চুক্তি করলেন নিকো। অর্থাৎ ২০৩৫ পর্যন্ত বিলবাওতেই থাকবেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
২২ বছর বয়সী নিকোকে বহুদিন ধরেই পেতে চেয়েছিল বার্সা। গত গ্রীষ্মেই স্প্যানিশ তারকাকে দলে নিতে প্রথম চেষ্টা চালায় ক্লাবটি।
চলতি বছর মনে হচ্ছিল, নিকোকে পেয়েই যাচ্ছে বার্সা। এমনকি গত সপ্তাহে অ্যাতলেতিক ক্লাব লা লিগার কাছে বার্সার আর্থিক অবস্থা নিয়ে অভিযোগও করেছিল, যাতে করে এই ট্রান্সফার চুক্তি আটকে দেওয়া যায়।
Advertisement
চুক্তি এতটাই এগিয়ে গিয়েছিল যে, অনেক অ্যাতলেতিক সমর্থক নিকোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গেল কয়েক সপ্তাহ নিকোর একটি ম্যুরাল দুইবার ভেঙে দেন তারা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিকো সেই ক্লাবেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যেখানে তিনি ১১ বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন। যেখানে নিজের ভাই, ঘানার ইনাকি উইলিয়ামসের সঙ্গে খেলেন।
অ্যাতলেতিক ক্লাবের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এক ভিডিওতে নিকো বলেন, ‘যখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসে, তখন আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো হৃদয়ের ডাক। আমি ঠিক সেই জায়গায় আছি, যেখানে আমি থাকতে চাই—আমার মানুষদের সঙ্গে, আমার ঘরে।’
২০২১ সালে বিলবাওয়ের মূল দলে জায়গা পাওয়ার পর থেকে ক্লাবটির হয়ে ১৬৭ ম্যাচে ৩১ গোল করেছেন নিকো। ২০২৪ সালে কোপা দেল রে জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। ৪০ বছর পর প্রথম কোনো বড় ট্রফি জিতেছিল বিলবাও।
Advertisement
স্পেন জাতীয় দলেও লুইস দে লা ফুয়েন্তের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন নিকো। এখন পর্যন্ত ২৮ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৬ গোল করেছেন। ২০২৪ ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়সূচক গোলটিও করেছেন তিনি।
এমএইচ/