পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রত্যন্ত দ্বীপ ইউনিয়ন ‘চরমোন্তাজ’। ১৩ হাজার ৯৯৭ একরের দ্বীপটির তিনদিকে নদী, দক্ষিণে সমুদ্র। উচ্চশিক্ষা, আধুনিক বাংলা, সাহেবিয়ানা সংস্কৃতি, বড় ইমারতি জীবনব্যবস্থা এখানে অনুপস্থিত। গরিবের ঘরগুলোতে স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা নিয়ে সাবলীল বসবাস! তাজা মাছ আর মোটা চালের ভাতেই সন্তুষ্ট সরল-সহজ প্রাণগুলো। জেলে, কৃষিজীবী, দোকানি ছাড়া অন্য পেশাজীবী নেহায়েত হাতেগোনা এখানে। পাশাপাশি নদীতে ভাসমান মান্তা সম্প্রদায়ও নৌকা বাঁধেন চরের পাড়ে।
Advertisement
সেই চরে নীল জামা পরে, কাঁধে বইয়ের ব্যাগ ঝুলিয়ে স্কুলের গন্তব্যে যাচ্ছিল দুটি শিশু। কোমলমতি দুই ছাত্রের কাছে তাদের নাম জানতে চাওয়া হলো। দুজনেই সুন্দর করে জবাব দিল- আব্দুর রহমান ও দ্বীন ইসলাম। এরপর তাদের জিজ্ঞেস করা হলো- ‘কোন স্কুলে পড়ো?’ শিশু দুটি স্কুলের কাগুজে নামটি বলতে পারেনি। তবে আলাদা করে দুজনেই জানাল- ‘আইয়ুব স্যারের স্কুলে পড়ি’।
আইয়ুব নামটি ওদের মুখেই প্রথম শোনা। এরপর ঐ পথে হেঁটে চলা বয়োজ্যেষ্ঠ ফারুক রাঢ়িকে জিজ্ঞেস করা হয়-স্কুলগামী বাচ্চাগুলো কেন স্কুলের নাম না বলে ‘আইয়ুব’ নামক একজনের নাম বলছে? ফারুক রাঢ়ি জানালেন-আইয়ুব স্যার তো কেবল এসব বাচ্চাদেরই শিক্ষক না। সে ওদের বাবা-মায়েরও শিক্ষক। তাই বাবা-মায়ের কাছে ‘আইয়ুব স্যার’ নামটা শুনতে শুনতে বাচ্চাগুলোর কাছেও এখন মুখস্থ। আর তাছাড়া আইয়ুব স্যার তো চরের সবার বন্ধু। তাই সহজে সবার মুখে ‘আইয়ুব স্যার’ নামটি আটকে গেছে।
হাতের তর্জনী উঁচিয়ে অদূরের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প দেখিয়ে ফারুক রাঢ়ি বললেন, ঐ যে দেখেন-মান্তাদের ঘরগুলো, ওখানে আইয়ুব স্যারের বিষয়ে জানতে চাইলে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন।এই কথোপকথনের পরে আইয়ুব সম্পর্কে কৌতূহল বাড়ে। পরে মান্তা সম্প্রদায়ের বাসিন্দা হারুন সরদারের কাছে জানতে চাওয়া হলো-আইয়ুব স্যারকে চেনেন কি না। তিনি হাসলেন। বলেন, যার হাত ধরে চরের শিশুদের শিক্ষাবিস্তার, মান্তাদের স্থায়ী ঘর নির্মাণ, দ্বীপের নানা উন্নয়ন, শিশুদের জন্য প্রথমে ভাসমান স্কুল প্রতিষ্ঠা, পরে স্থায়ী স্কুল প্রতিষ্ঠা-তাকে কে না চেনে?
Advertisement
ভাসমান মান্তাদের সন্তানদের পড়ালেখা করানোর দায়িত্ব নিলেন তিনি। এই চরে যারা নিরক্ষর ছিলেন, তাদের ধরে ধরে অ-আ-ক-খ শেখালেন, স্বাক্ষর দিতে শেখালেন তিনি আমাদের আইয়ুব স্যার। এরপর বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলো। নানা প্রসঙ্গের পাশাপাশি জানা হলো আইয়ুব স্যারের কর্মযজ্ঞ প্রসঙ্গে। জানা গেল, এই চরে একজনই স্যার আছেন, যিনি এই জনপদ সম্পর্কে তথ্য দিতে পারবেন। মনে হলো, মা-বাবা থেকে সন্তান অবধি সবাইকে যিনি পড়িয়েছেন, তিনি অবশ্যই অনেক বয়োবৃদ্ধ হবেন। এই জনপদের নিখাদ খোঁজ নিতে হলে এই আইয়ুব স্যারের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
এবার আইয়ুব স্যারের খোঁজে। দেখা করতে গেলাম, আইয়ুব স্যারের স্কুলে। প্রথমেই ধাক্কা খেলাম-সেই স্যারকে দেখে। একটু অবাকই হতে হলো। ভাবনার দেয়ালে যেন পলকেই রদবদল। ভাবনায় যিনি ছিলেন বয়োবৃদ্ধ, কিন্তু বাস্তবে আইয়ুব স্যার মাত্র ৩০ বছরের তরুণ!
পরিচয়ের পরে জানা গেল, এই তরুণের পুরো নাম ‘মো. আইয়ুব খান’। এই প্রত্যন্ত চরে জন্মসূত্রে বাসিন্দা তিনি। উচ্চশিক্ষা শেষে পেশায় একজন শিক্ষক ও সাংবাদিক। পরিবার ও জীবনের প্রয়োজনে এই চরে তার একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও (দোকান) আছে। তবে এসবের বাইরে তার পরিচয় তিনি ‘চরের স্যার- সবার স্যার’। জানালেন-চরবাসীই ভালোবেসে তাকে ‘আইয়ুব স্যার’ বলে ডাকেন। তবে মূলত এমন নাম তুলেছেন নদীতে ভাসমান মান্তা সম্প্রদায়ের মানুষগুলো।
প্রশ্ন ছিল-মান্তারা আপনাকে এত ভালোবাসে কেন? এরপর প্রচারবিমুখ আইয়ুব জানলেন মান্তাদের গল্পগুলো। আইয়ুব খান জানালেন, চরমোন্তাজের লাগোয়া নদীতে অন্তত দেড়শ পরিবার ছিল, যারা নৌকায় ভাসমান অবস্থায় বাস করতেন। এদেরই মূলত ‘মান্তা’ বলা হয়। এই সম্প্রদায়ের কোনো ঘর ছিল না, ঠিকানা ছিল না, এরা ভোটার ছিলেন না। ওদের নৌকায় বসবাসের কষ্ট আমি-আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখেছি। বিষয়টি আমাকে ভাবায়। তাদের জন্য কিছু একটু করার চেষ্টায় মাঠে নেমে পড়লাম ২০১৭ সালের দিকে।
Advertisement
মান্তাদের এমন মানবিক জীবনের দিকগুলো রাঙ্গাবালীর তৎকালীন ইউএনও স্যারকে বোঝানোর চেষ্টা করি। এরপর ইউএনওকে অনুরোধ করে এই চরে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের ব্যবস্থা করি। প্রথমে ৫০টি ও পরে আরও ৫০টি মান্তা পরিবারের থাকার জায়গা ও ঘরের ব্যবস্থা হলো। নৌকা থেকে ডাঙায় তুলে সামাজিকভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করা হলো। সেই পরিবারগুলোকে ভোটার করা হলো। তাদের পল্লিতে সুপেয় পানির টিউবওয়েল বসানো হলো। ফুল-ফলের গাছ লাগানো হলো। অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এসব কাজ একদিনের নয়, বছরের পর বছর সময় লেগে গেল। এসবে প্রত্যক্ষভাবে বারবার নিজেকে জড়িয়েছি। এরপর থেকেই এই ১০০ পরিবারের হৃদয়ে জায়গা পেলাম।
তিনি বলেন, ‘মান্তাদের করুন জীবনের কিছুটা অবসান হয়েছে মাটির স্পর্শে। নৌকার জীবন শেষে ১০০ মান্তা পরিবারের স্থায়ী ঘর হয়েছে। এতে তাদের জীবনে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। ডাঙার মানুষের সঙ্গে বৈষম্যও দূর হয়। এজন্য আমিসহ স্থানীয় অনেকের চেষ্টা করেছেন। প্রশাসন আমাদের অনুরোধ শুনছেন-ওদের জন্য বরাদ্দ দিয়ে ঘর তুলে দিয়েছেন। আমার অবদান আসলে খুব বেশি না’।
আইয়ুবের কাছে জানতে চাওয়া হলো-শুনেছি এই সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষার গোড়াপত্তন আপনার হাত ধরে। কীভাবে? প্রশ্নের উত্তরে আইয়ুব বলেন, ‘মান্তাদের মধ্যে কেউই পড়ালেখা জানতেন না। সেই নিরক্ষর মানুষগুলোকে অক্ষরজ্ঞান দিতে শুরু করলাম। প্রথমদিকে উন্মুক্ত আকাশের নিচে বসিয়ে শিশুদের পড়াতাম। এমন মমত্ববোধ দেখে পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলো বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘জাগো নারী’। ২০১৯ সালের জুনে জাগো নারীর উদ্যোগে মুসলিম চ্যারিটির অর্থায়নে স্থানীয় স্লুইসের খালে মান্তা সম্প্রদায় শিশুদের জন্য চালু হয় প্রাক-প্রাথমিক ‘ভাসমান বোট স্কুল’। পড়ালেখা করানোর জন্য বই-খাতা-কলম-পেন্সিলও দিলেন। সেই স্কুলের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিলাম। এভাবেই চলে যায় চার বছর।
পরে ভাসমান বোট স্কুল প্রকল্প শেষ হলেও নদীপাড়েই জাগো নারী নির্মিত মসজিদ কাম কমিউনিটি সেন্টার ভবনের দ্বিতীয়তলায় শিশুদের লেখাপড়ার কার্যক্রম শুরু হয়। ভাসমান স্কুল থেকে আবার নতুন পরিসরে নতুন স্কুলের কার্যক্রম শুরু হলো। রক্ষণাবেক্ষণ, স্কুল পরিচালনা ও শিক্ষকতার দায়িত্ব ফের নিজের ঘাড়েই নিলাম। সেই থেকে একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছি মান্তা শিশুদের মধ্যে। আর এভাবেই আইয়ুব থেকে হয়ে উঠলাম মান্তাদের আইয়ুব স্যার।
শিশুদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার সম্পর্কে তার ভাষ্য ছিল, ‘পৃথিবীতে সব মানুষই কারো না কারো সাহায্য নিয়ে শেখে-জানে-বাঁচে। নিজের জানা যেমন জরুরি, জানানোটা আরও জরুরি। আমার শিক্ষা যদি আমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখি তাহলে আমি কেমন শিক্ষা পেলাম? আমি নিজেকে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছি। এমন তাড়না থেকেই মনে হলো, মান্তা শিশুদের শিক্ষা বিস্তারে আমার কিছু করা উচিত। আমি সেই ভাবনা থেকেই ওদের পড়ানোর, কিংবা স্কুল প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নিয়েছি। চেষ্টা করেছি মাত্র এতে সহায়তা করেছেন অনেকেই।’
মান্তা বহরের মানুষগুলোর কাছে আইয়ুব যেন চোখের মনি। এর নেপথ্যের গল্প কী এগুলোই? তিনি বলেন, পরিবার-স্বজনের বাইরে রক্তের সম্পর্কহীন মান্তাদের কাছে আমি আপন হয়ে উঠলাম। একসময় ওরা যে কোনো প্রয়োজনে আমাকে পাশে চাইত। আমার ঈদ-উৎসব কাটতে শুরু করে এই মান্তা পল্লীতে। এক সময় আমি ওদের শিক্ষক থেকে ‘পরিবারের একজনে’ পরিণত হয়েছি।
জানা গেল, চিন্তা-চেতনা, চেষ্টায় তিনি অনেকের চেয়ে বড়। মাদকমুক্ত সমাজ এই তরুণের ব্রত। সমাজে শিক্ষিত হাজারো তরুণ যখন মাদক কিংবা নানা অপকর্মে পথভ্রষ্ট, তখন তিনি কাজ করছেন তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। কোনো চাপ প্রয়োগ নয়, বরং মোটিভেট করে তিনি সমাজকে মাদকমুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন সাধ্যমতো। শুধু মাদক নির্মূল নয়, মুমূর্ষু রোগীদের প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে কিংবা রক্ত খুঁজে দিয়েও সাহায্য করেন এই তরুণ।
এছাড়াও করোনা মহামারি চলাকালে যখন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়লেন, অসচেতনতার কারণে যখন গ্রামবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেন, প্রতিবেশী কেউ অসুস্থ হলে সাহায্যের বদলে যখন সবাই পালাচ্ছিলেন, তখন এই আইয়ুব ছিলেন সবার পাশে ছিলেন ঢাল হয়ে। চরবাসীর সচেতনতা বৃদ্ধি, গুজব-অপচিকিৎসা প্রতিরোধের পাশাপাশি নানামুখী সহায়তায় তিনি নিজেকে নিয়োজিত করলেন। নানা মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা সংগ্রহ করে, চরবাসীর মধ্যে তা বণ্টন করলেন।
এসব বিষয়ে আইয়ুব বলেন, স্থানীয় অনেক উন্নয়নে নিজেকে যোগ করার সুযোগ পেয়েছি। কতটা সফল জানি না, তবে দ্বীপের উন্নয়নে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনো ভাসমান বেশকিছু পরিবার ঘরহীন আছে। তাদের নিয়ে আমি ও আমাদের স্থানীয় উদ্যোগে পরিকল্পনা চলছে।
এছাড়াও স্থানীয় পর্যটন সম্ভাবনা বিস্তারেও তার অবদান আছে। নতুন করে আলোচিত ‘চর হেয়ার’কে প্রশাসনের মাধ্যমে পর্যটন সুবিধাদি নিশ্চিতের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছেন এই তরুণ। সম্ভাবনাময় এই নতুন পর্যটন স্পটকে দেশীয় ও বিশ্ব-দরবারে তুলে ধরতে অনলাইন-অফলাইনে প্রচারে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। ‘চর হেয়ার’ নামক নতুন চরকে কীভাবে উন্নত একটি পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা চলছে। এ যেন আইয়ুব হোসেনের নতুন স্বপ্ন।
স্থানীয়দের পর্যটন সম্ভাবনার বিকাশ নিয়ে আইয়ুবের পরিকল্পনা-চিন্তা স্বপ্নের সমান। তিনি বলেন, নদীমাতৃক দেশের চরগুলোতে বেড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ বনগুলো স্বাভাবিকভাবেই সুন্দর। তবে যাতায়াত-প্রচার আর থাকা-খাওয়ার পর্যাপ্ত সুব্যবস্থা না থাকার ফলে এই সৌন্দর্য পর্যটকদের স্পর্শ করে না। চরের অর্থনীতি বিকশিত হয় না। চরের প্রাণ-প্রকৃতি প্রশংসিত হয় না। চরের জোয়ার-ভাটার সৌন্দর্য-স্বাচ্ছন্দ্য যেন চরের মধ্যেই আটকে থাকছে। এই সৌন্দর্যর কথাগুলো জানাতে চাই, ছড়িয়ে দিতে চাই।
সংবাদকর্মীর জবানবন্দীআইয়ুব নামক এই ব্যক্তির থেকে সেদিন বিদায় নেবার পালা। আমাকে বিদায় দিতে খানিকটা এগিয়ে এলেন তিনি। করমর্দন শেষে বুকে টেনে নিতে হচ্ছে হলো। মনে হচ্ছিল-একজন আলোকবর্তিকা বুঝি এমনই হয়। এভাবেই তারা আলো ছড়ায়। একটি জনপদের মধ্যে এতটা শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে ওঠা সহজ নয়। শুধু কি শ্রদ্ধার? তিনি মনের অজান্তেই এ দ্বীপের রক্ষাকবচে পরিণত হয়েছেন।
পাঠক রক্ষাকবচ কথাটির অর্থ জানেন কি? মিত অনুযায়ী যা অন্যের জীবনকে রক্ষায় কাজ করে সেই কবজকে (অতিপ্রাকৃত দৃষ্টিকোণ থেকে ‘তাবিজ’ বিশেষ) রক্ষাকবচ বলা হয়। মানুষের মধ্যেও সমাজ রক্ষায় এমন কিছু মানুষ থাকেন, যাদেরকে ঐ সমাজের মানুষ রক্ষাকবচ হিসেবেই সম্মান করেন। তেমনই একজন, চরমোন্তাজ নামক চরের ‘আইয়ুব স্যার’।
সেদিন দুপুর নাগাদ আইয়ুবের থেকে বিদায় নিলাম। পেটে তখন বেশ ক্ষুধা। মনে হচ্ছিল-পেটের ক্ষুধা তো খেলেই মিটবে, এমন আইয়ুব যদি হতে পারতাম, তবে ‘মানুষ হয়ে ওঠার’ ক্ষুধাও মিটত। প্রতিটি জনপদে যদি এমন আইয়ুবরা জন্মাতেন, তবে হয়তো পুরো দেশটাই পালটে যেত। যেতে যেতে দুবার ফিরলাম আইয়ুবের দিকে। মনে মনে মন থেকে বলছিলাম-সত্যিই ভালো থাকবেন ‘আইয়ুব স্যার’।
আরও পড়ুন পাতায় কেনা এক টুকরো শৈশব বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি প্রতিরোধ ও প্রস্তুতিকেএসকে/এএসএম