অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ২৪ ঘণ্টায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও কমপক্ষে ৫৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ২১৩ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পুরো গাজাজুড়েই ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
এর আগে নাসের হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের তাবুতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিন সাংবাদিক নিহত হন। চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা নগরী ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলের কড়াকড়ি আরোপের ফলে ৬ লাখ ২ হাজার শিশু পোলিও টিকা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় স্থায়ী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় বড় আকারের বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করেছে। শুধু তাই নয় ক্রমাগত নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণ করে চলেছে দখলদার ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত এই উপত্যকার ৫০ শতাংশ অংশ দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিজ ভূমিতে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছেন অধিকাংশ ফিলিস্তিনি।
Advertisement
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৮১০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৮ জন।
আরও পড়ুন: গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজভূমে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা ‘পাহাড় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে শিশুদের ওপর’ রাফাহকে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় ইসরায়েলগাজাকে এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। যতদূর চোখ গেছে চোখের সামনে যা কিছু পেয়েছে ধ্বংস করা হয়েছে। যেখানেই কোনো ধরনের নড়াচড়া চোখে পড়েছে, গুলি করে তা স্তিমিত করে দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা যেন আর কোনোদিনই এখানে ফিরতে না পারেন সেই ব্যবস্থাই করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
টিটিএন
Advertisement