ধানক্ষেত বলতেই চোখে ভাসে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ অথবা সোনালি মাঠ। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। মাঠে শোভা পাচ্ছে বেগুনি রঙের ধানগাছ। ধানের এ বৈচিত্র্য দেখতে ভিড় করছেন কৃষক ও দর্শনার্থীরা।
Advertisement
জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার পিড়াশন এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম ১২ কাঠা জমিতে এই ধানের চাষ করেছেন। ইউটিউবে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে গাইবান্ধা জেলা থেকে নিয়ে এসে শখের বসে চাষ শুরু করেন এই কৃষক।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন চাষ শুরু হওয়া এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। দেশে সর্বপ্রথম এ জাতের ধানের আবাদ শুরু হয় গাইবান্ধায়। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ধান। ধানের রং সোনালি ও চালের রং বেগুনি হয়। উফশী জাতের এ ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেকটাই কম। রোপণ থেকে ধান পাকতে সময় লাগে ১৪৫ থেকে ১৫৫ দিন। ফলনও ভালো।
কৃষক রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, চারপাশে সবুজ ধানের মাঝে বেগুনি এ ধানক্ষেতটি প্রথম দেখায় দৃষ্টি কাড়ছে সবার। এ ক্ষেত দেখতে দূরদূরান্ত থেকে কৃষক ও গ্রামবাসী ছুটে আসছেন। সবাইকে এ ধান সম্পর্কে জানাতে ব্যানার টানিয়েছেন তিনি। ব্যানারে নাম দিয়েছেন দুলালী সুন্দরী।
Advertisement
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেগুনি জাতের এ ধান নতুন। তাই কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ফসল কাটার পর এর পুষ্টিগুণ যাচাই করে আগামীতে কৃষকদের মধ্যে এর বিস্তার ঘটানো হবে।
কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ধান কাটার পর বীজ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি স্থানীয় কৃষকদের।
সোহান মাহমুদ/এমএন/এএসএম
Advertisement