রাস্তার পাশের যেসব গাছ কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির মালিকানাধীন নয়, সরকারি জমিতে হলেও প্রশাসন বা সরকারের পক্ষ থেকে সেগুলোর ফল হেফাজত করার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, ফল-ফুল ছিড়তে নিষেধও করা হয়নি বরং সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, এ রকম গাছের ফুল ও ফল খাওয়া ও নিজের কাজে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ নয়। কারণ পৃথিবীতে নির্দিষ্ট মালিকানা ও সংরক্ষণের বাইরে যতো গাছপালা, ফুল-ফল আছে তা সব মানুষের। সবাই সেগুলো থেকে উপকৃত হতে পারে।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা বলেন, তিনিই তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীর সবকিছু। (সুরা বাকারা: ২৯)
ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো ফল-ফুলের গাছও যদি মালিকের পক্ষ থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, ফল খাওয়ার বা ফুল নেওয়ার ব্যপক অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ওই গাছের ফুল-ফল খাওয়া যাবে ও নিজের অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। আর মালিকের অনুমতি বা সম্মতি না থাকলে অন্যের অন্যান্য সম্পদের মতোই গাছের ফুল-ফলও খাওয়া বা ব্যবহার করা যাবে না।
এ ছাড়া অন্যের গাছের নিচে ঝরে পড়া ফল কুড়িয়ে খাওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করে থাকেন অনেকে। এ রকম ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধান হলো গাছের নিচে ঝরে পড়া ফল কুড়িয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মালিকের পক্ষ থেকে যদি কোনো প্রকার বাধা না দেওয়া হয়, নিষেধ না করা হয়, তাহলে তা কুড়িয়ে নেওয়া ও খাওয়া জায়েজ হবে। তবে এ ব্যাপারে যদি মালিকের অসম্মতি বা অসন্তুষ্টি বোঝা যায়, তাহলে পড়ে থাকা ফলও কুড়িয়ে নেওয়া জায়েজ হবে না।
Advertisement
ওয়াকফকৃত কবরস্থানের গাছের ফল খাওয়ার বিধান
সরকারি বা ওয়াকফকৃত কবরস্থানের গাছ, কাঠ, ফুল, ফলসহ সব উৎপাদন ওই কবরস্থানের নিজস্ব সম্পদ। কবরস্থান পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন, তাদের দায়িত্ব এগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করা এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ কবরস্থানের উন্নয়ন ও সংরক্ষণের কাজে লাগানো।
সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন কোনো কবরস্থানের গাছের ফলমূলই সবার সম্পদ নয় এবং বিনামূল্যে খাওয়া জায়েজ নেই।
কবরস্থান যদি কারো ব্যক্তি-মালিকানাধীন হয়, তাহলে সেখানকার কোনো গাছের ফল খেতে হলে মালিকের অনুমতি/ সম্মতিক্রমে খেতে হবে অথবা মালিক যদি কবরস্থানে হওয়া গাছের ফল বিক্রি করে তাহলে কিনে খাওয়া যাবে।
Advertisement
ওএফএফ/এএসএম