মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে করা রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে হাইকোর্টে খারিজ করে দেওয়া রায় স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
Advertisement
হাইকোর্টের রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত গত ৭ মে এ আদেশ দেন। এসময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের গত ৭ মে দেওয়া আদেশের অনুলিপি সোমবার (১২ মে) হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী। এর ফলে, ডাক বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানটি ফের তার মূল মালিকপক্ষের নিয়ন্ত্রণে চলে গেল। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী নগদ পরিচালিত হবে— এ নিয়ে আর কোনো আইনগত জটিলতা থাকল না বলে জানান আইনজীবী।
এর আগে ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলম গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখার রিটটি করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে তা খারিজ করে (রুল ডিসচার্জ) দেন। নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এজেন্ট উল্লেখ করে ঘোষিত রায়ে আদালত বলেন, আইন বাস্তবায়ন করেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।
Advertisement
হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে শাফায়েত আলম আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে গত ৭ মে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত তা স্থগিত করে ওই আদেশ দেন।
এ আদেশের অনুলিপি সোমবার হাতে পাওয়ার কথা জানান রিট আবেদনকারীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী জামিলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ফলে এই সময়ে প্রশাসক কার্যক্রম চালাতে পারবেন না।’
গত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আদেশ জারি করে। প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলমের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ প্রশ্নে রুল দেন।
২০০৪ সালের পরিশোধ ও নিষ্পত্তাব্যবস্থা আইনের ৩১(১) ও (২) ধারা প্রতিপালন না করে ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগের গত ২১ আগস্টের মেমো (আদেশ) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
Advertisement
রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রশাসকের নীতিগত কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট আবেদনকারী সম্পূরক আবেদন করেন। এর শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট প্রশাসকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনায় পক্ষগুলোকে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। পরে মেয়াদ বাড়ানো হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন।
এফএইচ/এমএএইচ/জেআইএম