ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন হোটেল রয়েল মার্কের ম্যানেজার আব্দুল মতিন সরকার।
Advertisement
মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা লুটসহ ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
একই দিন এই হোটেল ছাড়াও বাটা ও কেএফসিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর-লুটপাট চলে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এসময় হোটেল বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কেএফসিকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে ৩০-৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল হোটেলের নিচতলার রিসিপশনে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও স্টাফদের মারধর করে। এসময় তারা রিসিপশনের ক্যাশ থেকে লুট করে নিয়ে যায় নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র। ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
Advertisement
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় রয়েল মার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাটা, কেএফসি, ইউনিমার্ট, বনফুল ও পিউরিয়াসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং লুটপাটের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মোট ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে হোটেল রয়েল মার্ক পরিদর্শনে যান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম।
পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে নজরদারি চলছে।
Advertisement
আহমেদ জামিল/জেডএইচ/এমএস