রাজধানীর অনেক এলাকাতেই শপিংমল ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ঈদ কেনাকাটার ভিড় দেখা গেলেও গুলশানের ডিসিসি মার্কেটের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে অল্প কিছু ক্রেতার দেখা মিললেও বিকেলে হালকা ঝড়ো হাওয়ার পরে প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় বাজারটি।
Advertisement
ডিসিসি মার্কেটের আশেপাশে বরাবরই ভ্যানের ওপর প্রচুর ভ্রাম্যমাণ দোকান চোখে পড়তো, সেই সঙ্গে ফুটপাতের ওপরও বসতো বেশ কিছু দোকান। তবে এই রমজানে সেসব দোকান আর আগের জায়গায় নেই। মার্কেটের সামনের অংশটিতে করা হয়েছে গোছানো পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। মার্কেটের মূল বিল্ডিংয়ের সামনে একপাশে বসেছে দু’টি ইফতার সামগ্রীর দোকান।
বাইরে পোশাকের দোকানগুলো না থাকায় মার্কেটে কাপড়ের কালেকশন কমে গেলেও এই বাজারে এমন কিছু জিনিস পাওয়া যায়, যা সাশ্রয়ী মূল্যে অন্য বাজারে মেলে না। যেমন- বিভিন্ন রকম বাদাম, বিদেশি সবজি, মাশরুম, বিদেশি প্রসাধনী ও প্যাকেটজাত খাবার। আলোকচিত্রের মাধ্যমে জেনে নিন ১৬ রমজানে ডিসিসি মার্কেটের হালচাল। ছবিগুলো তুলেছেন অধরা মাধুরী।
ক্রোকারিজের দোকানে অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা।
Advertisement
গয়নার দোকানেও দেখা যায়নি ঈদের ভিড়।
কাপড় ও জুতার দোকানে ছিল অল্প কিছু ক্রেতার আনাগোনা।
দুপুরের পরপর হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া দিয়ে যায়, সঙ্গে অল্প বৃষ্টি।
মার্কেটের মূল বিল্ডিংয়ে বাইরের ক্রোকারিজ ও ফলের দোকানে ঢুঁ দেন অফিস ফিরতি কিছু ক্রেতা।
Advertisement
রঙিন ক্যাপসিকাম, বিভিন্ন রকম মাশরুম, সেলারি, জুকিনির মতো অপ্রচলিত কিছু সবজির দেখা মেলে এই বাজারে। এসব দোকানের ক্রেতারা নিয়মিত এখানেই আসেন বিদেশি সবজির খোঁজে।
ঈদে বিশেষ বিশেষ খাবার রান্না করার জন্য মুদির দোকানে উপকরণের লিস্ট মিলিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা। রকমারি বাদামের চাহিদা বেশি।
বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে খাবার ঢেকে ফেলছেন ইফতারি বিক্রেতারা।
একমাত্র খাবারের দোকানের গলিতেই ক্রেতার ভিড়ের দেখা মিললো।
আসবাবপত্রের দোকানগুলোতেও বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন।
বিক্রেতাদের কয়েকজন বলেন, এবছর ক্রেতার সংখ্যা বেশ কম। পাইকারি দোকানগুলো ছাড়া অন্যদের বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে না। তবে এর কারণ সম্পর্কে তারা জানেন না।
এএমপি/এএসএম