রাজধানীর বেশ সুপরিচিত মার্কেট মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মালিকানায় এ মার্কেট স্থাপিত হয়। কৃষি মার্কেটের দক্ষিণে শিয়া মসজিদ, পশ্চিম পাশে শ্যামলী লিঙ্ক রোড এবং ঢাকার নতুন আবাসিক এলাকা শেখের টেক অবস্থিত।
Advertisement
যখন কৃষি মার্কেট চালু করা হয় তখন মার্কেটের পশ্চিম দিকে ছিল নৌঘাট। বর্তমানে দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে নদী ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বসতবাড়ি। ফলে কৃষি মার্কেটের সঙ্গে বর্তমানে কোনো নৌ যোগাযোগ নেই। এই মার্কেটে আছে ১৫০ থেকে ২০০টির মতো দোকান। এখানে শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, কুর্তা, পর্দা, মশারি ডিনার সেটসহ পাওয়া যায় সব ধরনের জিনিসপত্র।
কৃষি মার্কেটে পাওয়া যায় নারীদের স্টাইলিশ ওয়ান পিস, টু–পিস (কো–অর্ডস), থ্রি–পিস, শাড়ি, প্যান্ট, পায়জামা, স্কার্ট। । তবে টপ আর কো–অর্ডসের সেট মিলবে মাত্র ৩০০-৫০০ টাকার মধ্যে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে ঈদ কেনাকাটা ঈদ কেনাকাটার সঙ্গী ‘অথবা ডট কম’ অনলাইনে কেনাকাটায় সতর্ক থাকা কেন জরুরিছোটদের জিনিসপত্রের জন্য বেশ জনপ্রিয় কৃষি মার্কেট। মাত্র ১০০ টাকা ধরে কিনতে পারবেন ছোটদের পোশাক। তবে এজন্য আপনাকে ভ্যান থেকে খোঁজে নিতে হবে পছন্দের পোশাকটি। এমনকি মাত্র ৫০ টাকায়ও পাওয়া যায় বড়দের গেঞ্জি। এছাড়া ২০০-৩০০ টাকা দিয়ে বৈচিত্র্যময় সুন্দর ফ্রক, টপ, প্যান্ট-গেঞ্জির সেটও কিনতে পারবেন।
Advertisement
তবে এই মার্কেটে বেশি পাওয়া যায় পর্দা, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কুশন ইত্যাদি। কম দামে প্রিন্টের বাহারি পর্দা কিনতে হলে রাজধানীতে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের বিকল্প নেই। প্রতি পিস পর্দা পাওয়া যাবে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা মধ্যে। মূলত কাপড়ের মান, কুঁচির সংখ্যার ওপর নির্ভর করে এসব পর্দার দাম। সুতি, লিনেন, ভয়েল, সিনথেটিক বা নেটের পর্দা ছাড়াও এখানে পাওয়া যায় একরঙা, গামছা প্রিন্ট, ব্লক, টাই-ডাই বা স্ক্রিনপ্রিন্টের পর্দা। অন্যদিকে মানভেদে মাত্র ৪০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে কেনা যাবে বিছানার চাদর।
পোশাক, পর্দা ছাড়াও কৃষি মার্কেট সিরামিকের জিনিসপত্রের জন্য বেশ পরিচিত। এখানের একটি গলি আছে, যেখানে রয়েছে ভ্যানভর্তি সিরামিকের তৈজসপত্র। অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখানে সবকিছুর দামই অনেক কম। এক কথায় বলা যায় সাধ ও সাধ্যের বাজার মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট।
এখানেই শেষ নয়, আপনি যখন কেনাকাটা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন তখনই চোখে পড়বে আশপাশে থাকা মোহাম্মদপুরের ঐতিহ্যবাহী সব স্ট্রিট ফুড। সন্ধ্যা নামলেই জমজমাট হয়ে উঠবে চাপ, কাবাব, ফালুদা, মোমো, দোসা আর চা-কফির দোকান।
জেএস/এএসএম
Advertisement