রাজনীতি

আমরা দুইবার স্বাধীনতা অর্জন করলেও স্বাধীনতা ভোগ করার সুযোগ হয়নি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন এক দেশে বসবাস করছি যে দেশ আভিধানিক অর্থে দুইবার স্বাধীনতা অর্জন করেছে; অথচ সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করার সুযোগ হয়নি।

Advertisement

সত্যিকার স্বাধীনতার ভোগ করতে না পারার তিনটি কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমত গড়ার ভিশনের অভাব। একজন রাজনীতিবিদ চিন্তা করেন কীভাবে নির্বাচনে জিতবেন। আর একজন সত্যিকারের স্টেটম্যান চিন্তা করেন কীভাবে জাতি গড়বেন। এই গড়ার ভিশনের অভাব। দ্বিতীয় কারণ নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়। তৃতীয় কারণ হলো আমরা কোনো জায়গায় নিজেকে অ্যাকাউনটেবল মনে করি না।

সোমবার (১৭ মার্চ) বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, আমরা বিজয়ী হয়ে গেলে আমাদের কোনো পতন দেখি না। কারণ আমাদের সঙ্গে থাকা সবাই হাততালি দেয়। সব দেখে আমরা অতিমানব হয়ে যাই। এটা রাজনৈতিক পতন, এটা সভ্যতার পতন। এ তিন জায়গায় জাতি সংশোধন না হলে জাতি শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে করি না।

Advertisement

আরও পড়ুনস্বল্প থেকে দীর্ঘমেয়াদি, সব দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার নিতে চাচ্ছে বিএনপিকে ১/১১’র মতো মিডিয়া ট্রায়ালের মুখে ফেলা হচ্ছে: তারেক রহমান 

তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি সমাজ ও দেশের জন্য। সমাজ ও দেশের স্বার্থে কিছু জায়গায় আমাদেরতো একমত হতেই হবে। মতের ভিন্নতা থাকবে, এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের মধ্যে মতের পার্থক্য হোক কিন্তু মতের বিরোধ না হোক। দুঃখের বিষয় আমরা মতের পার্থক্যের মধ্যে থাকি না, মতবিরোধে জড়িয়ে যাই। যার কারণে এতবড় পরিবর্তনের পর আমরা শ্বাস নিতে পারছি। এর শুকরিয়া হিসেবে যেভাবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে দেশ গড়ার ব্যাপারে চিন্তার আদান প্রদানের কথা ছিল সেটা আমরা রক্ষা করতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, যুবকদের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। তারা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে বিশাল এক কাজ করে দিয়েছে। এখন তাদের প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্ব আমাদের। তাদের হতাশ করা ঠিক হবে না। যুবকদের বলবো, তোমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ, অনেক ভয়-আতঙ্ক ছুড়ে দেওয়া হবে। এই জায়গায় যারা স্থির থাকতে পারবে, আশা করা যায় জাতিকে তারা ভালো কিছু দিতে পারবে। এখানে যারা হেরে যাবে তারা নিজেরা হেরে যাবে এবং জাতিকে হারিয়ে দেবে। যুবকরা যেন পথহারা না হয় আমরা সেই দোয়া করি।

এএএম/কেএসআর

Advertisement