বিনোদন

‘কেবিসি’ থেকে কি বিদায় নিচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন

 

বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের কাছে বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। জীবনের ৮২ বসন্ত পার করেও তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন বিগবি। তবে বেশ কিছুদিন ধরে তার অবসর নেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ গুঞ্জন উসকে দিয়েছে অমিতাভের কিছুদিন আগে দেওয়া একটি পোস্ট, যা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শাহেনশাহ ভক্ত-অনুরাগীরা।

Advertisement

একটি সূত্র জানায়, এবার সম্ভবত জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘কেবিসি’র (কৌন বনেগা ক্রোড়পতি) উপস্থাপনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন অমিতাভ! অর্থাৎ ‘কেবিসি’র হট সিটে তাকে আর দেখা যাবে না। ২০০০ সালে ৫৭ বছর বয়সে এ রিয়েলিটি শোর মাধ্যমেই ছোটপর্দায় নাম লেখান অমিতাভ। সেই থেকে তিনি এখন পর্যন্ত ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছেন। এ মুহূর্তে ‘কেবিসি’র ১৬ নম্বর সিজন চলছে। কেবল এর তৃতীয় সিজনে দেখা যায়নি অমিতাভকে। সেই সময় এটি উপস্থাপনা করেছিলেন শাহরুখ খান।

জানা গেছে, অন্য কোনো কারণ নয়, শুধু নিজের ওপর কাজের চাপ কমানোর জন্যই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন অমিতাভ। সেই সূত্র আরও জানিয়েছে, ‘কেবিসি ১৫’-র শেষেই নিজের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন অমিতাভ। কিন্তু ‘কেবিসি’র প্রযোজকরা নাকি ছাড়তেই চাননি তাকে। তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ফিরে এসেছিলেন অমিতাভ। তবে এবার আর নয়। আসলেই নাকি ‘কেবিসি’থেকে তিনি বিদায় নিতে যাচ্ছেন। এ সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় হাওয়ার বেগে ছড়িয়েছে পড়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। সবাই বলাবলি করছেন অমিতাভ বচ্চনের ‘কেবিসি’ থেকে বিদায় নেওয়ার পর কে বসবেন এর হট সিটে? সবার পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে তিনটি নাম- শাহরুখ খান, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও মহেন্দ্র সিং ধোনি!

অমিতাভ বচ্চন তার ব্লগে লিখেছিলেন, এখন তার চিত্রনাট্যের সংলাপ মনে রাখতে সমস্যা হয়। তাই গভীর রাতে পরিচালকদের ফোন করেন এবং দৃশ্যগুলো আরও ভালোভাবে সম্পাদনা করার জন্য দ্বিতীয় সুযোগও চান শাহেনশাহ।

Advertisement

অভিনেতার ভাষ্য, ‘কাজের জন্য প্রচুর মিটিং করতে হয়। কোনটা মানব আর কোনটা প্রত্যাখ্যান করব তা চ্যালেঞ্জিং। আমি যে কাজ পাচ্ছি, তার প্রতি কি সুবিচার করতে পারব? এরপর কী হবে? সবটাই অজানা।’

আরও পড়ুন:অমিতাভ কি বলিউড থেকে বিদায় নিচ্ছেনকত টাকায় বাড়ি বিক্রি করছেন অমিতাভ

অমিতাভ আরও লেখেন, ‘অভিনয়ের জন্য শুধু সংলাপ মনে রাখাই যথেষ্ট নয়। আরও বেশ কিছু বিষয় মনে রাখতে হয়। বাড়িতে ফিরে বুঝতে পারি যে কতগুলো ভুল হয়েছে এবং কীভাবে সেগুলো ঠিক করতে হবে। পরিচালকের কাছে মধ্যরাতে ফোন করে আরও একবার সংশোধনের সুযোগও চেয়েছি বহুবার।’

এমএমএফ/জেআইএম

Advertisement