চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়নে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদককে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Advertisement
রোববার (৯ মার্চ) রাতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্তে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি মো. খাজা আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাশেম টোটন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক।
Advertisement
দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি মো. খাজা আবুল হাসনাত বলেন, তিনজনের বিরুদ্ধে রফিকুল ইসলাম রফিক হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তারা দলের গঠনতন্ত্র ও আদর্শের পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে এবং দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এজন্য জেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে, দলে কোনো অনৈতিক কাজ বা চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না। রফিক হত্যার ন্যায়বিচার চায় দল। নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন, চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারি গ্রামের মৃত শরীফ উদ্দিনের ছেলে তাসলিমুজ্জামান সাগর, গ্রীসনগর গ্রামের খালেক ত্রীপুরার ছেলে বিল্লাল হোসেন ও একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে আছের উদ্দিন মান্দার।
রোববার বিকালে তাদের দর্শনা আমলি আদালতে সোপর্দ করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। সন্ধ্যায় তাদের পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। তবে মামলার প্রধান আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
Advertisement
মামলার বাদী নিহত নেতার স্ত্রী জানান, হত্যাকারী ও তাদের সহযোগীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় চরম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছি। দ্রুত সময়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। দিবালোকে প্রকাশ্যে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ফাঁড়ির খুব কাছে বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
টিসিবি ও ভিজিএফের চালের কার্ড বিতরণ নিয়ে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটনের বিরোধ হয়। শনিবার সকালে বিষয়টি আপস-মীমাংসার কথা বলে রফিককে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রফিকের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তি ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
হুসাইন মালিক/এমএন/জিকেএস