ঠিক সমবয়সী বলা যায় না। মুশফিকুর রহিমের (৩৭ বছর ৩০১ দিন) চেয়ে শাহরিয়ার নাফীস (৩৯ বছর ৩০৯ দিন) ২ বছরের বড়। তবে ক্যারিয়ার বিবেচনায় ও জাতীয় দলে তারা সতীর্থ। বরং মুশফিকের টেস্ট অভিষেক (মে, ২০০৫) বা জাতীয় দলের সঙ্গে যাত্রা শুরু শাহরিয়ার নাফীসেরও আগে। তবে টেস্ট ও ওয়ানডেতে মুশফিককে সহযোগী ক্রিকেটার হিসেবে পেয়েছেন শাহরিয়ার নাফীস। তাই দেশের ক্রিকেটের সব সময়ের অন্যতম সেরা ও সফল উইলোবাজকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে শাহরিয়ার নাফীসের। সহযোদ্ধা মুশফিকের অবসর নেওয়া সম্পর্কে শাহরিয়ার নাফীসের মূল্যায়ন হলো, ‘মুশফিকের জায়গা থেকে সিদ্ধান্তটা নেওয়া সহজ ছিল না। কারণ, সে এখনও ভালো পারফরমার হিসেবে পরিগণিত, সমাদৃত। তারপরও সে ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাকে বাহবা দিতেই হচ্ছে।’
Advertisement
শাহরিয়ার নাফীসের কথা, ‘আপনি যখন রান করবেন নিয়মিত, প্রচুর উইকেট পাবেন; তখন আপনার নিজ থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত দেওয়া, সরে দাঁড়ানো কঠিন হবে। বারবার মনে হবে, আরও কিছু দিন খেলি না কেন। ভালোই তো খেলছি।’
‘খুব ভালো লাগছে যে, মুশফিক সে পথে হাঁটেনি। সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। আমি মনে করি, সম্ভাব্য সেরা সিদ্ধান্তটিই সে নিয়েছে।’
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত শাহরিয়ার নাফীসের মূল্যায়ন, মুশফিক হতে পারেন তরুণ ও নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের আদর্শ।
Advertisement
নাফীস বলেন, ‘সে (মুশফিক) নিয়মিত ভালো খেলার তাগিদ অনুভব করতো। নিজেকে মেলে ধরতে মুখিয়ে থাকতো। পরিশ্রমও করতো প্রচুর। তার ভালো খেলার প্রবল ইচ্ছে, অনুশীলনে বেশি সময় দেওয়া ছাড়া মুশফিকের ক্যারিয়ারটা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আদর্শের।’
‘আমার মনে হয়, বাংলাদেশের তরুণ ও নতুন প্রজন্মের জন্য মুশফিক সেরা আদর্শ হতে পারে। কেউ যদি বড় খেলোয়াড় হতে চায়, তাহলে যেন মুশফিককে আদর্শ হিসেবে নেয়।’
নাফীসের শেষ কথা, ‘আমার মনে হয়, মুশফিক ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলে দেশের ক্রিকেট উপকৃত হবে।’
এআরবি/এমএইচ/জিকেএস
Advertisement