তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তাওহিদ হৃদয়, রনি তালুকদার, সাইফউদ্দীন, তাইজুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, এবাদত হোসেন ও আবু হায়দার রনি মতো জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়েও কি মোহামেডান প্রত্যাশিত সাফল্য পাবে না? শুধু কাগজে-কলমেই এক নম্বর হয়ে থাকবে?
Advertisement
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে এমন উদ্বেগ দেখা গেছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই সে উদ্বেগ গেছে কেটে। আজ বৃহস্পতিবার শেরে বাংলায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে মোহামেডান।
হোম অব ক্রিকেটে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের মোহামেডান। প্রথম ম্যাচ না খেলা অলরাউন্ডার মিরাজ ও হৃদয় একাদশে ছিলেন আজ। তবে পেসার তাসকিন আহমেদ দ্বিতীয় ম্যাচেও ছিলেন বিশ্রামে।
মিরাজ যথারীতি মাপা অফস্পিন দিয়ে রূপগঞ্জের ব্যাটারদের রানের গতি চেপে রাখেন। ৩৪ রান দিয়ে ২টি উইকেটও নেন। হৃদয় ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ বলে ১১ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৭৪ রানের উত্তাল ইনিংস খেলে দল জিতিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে।
Advertisement
মোহামেডান শিবিরে দুটি ইনজুরি এসে দানা বেঁধেছে। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ পায়ের কাফ মাসলে চোটের কারণে এ ম্যাচ খেলেননি। অভিজ্ঞ তারকার মাঠে ফেরা নিয়েও আছে সংশয়। ওদিকে ইনজুরি কাটিয়ে বিপিএলের শেষ দিকে মাঠে নামা পেসার মুশফিক হাসানও আজ বল করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে মাত্র ১.৩ ওভার বল করে মাঠ ছেড়েছেন।
তরুণ খেলোয়াড়ে গড়া রূপগঞ্জের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ৯৫ বল আগে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছালেও মোহামেডানের বোলিং ও ফিল্ডিং কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছেনি। কারও বলেই তেমন ধার চোখে পড়েনি।
পেসারদের মধ্যে এবাদত (১০ ওভারে ২/৩৭) আর দুই স্পিনার মিরাজ ও তাইজুল (১০ ওভারে ২/২৯) সমীহ জাগানো বোলিং করলেও বাকিদের বোলিং আপ টু দ্য মার্ক হয়নি। ফিল্ডিংও আহামরি ভালো ছিল না।
মোহামেডানের দুর্বল বোলিংয়ের সুযোগে আল আমিন (৫১ বলে ৪১), অভিজ্ঞ তানবির হায়দার (৫৪ বলে ৩৭), মাহমুদুল হাসান লিমনের (২৩) এবং আসাদুল্লাহ গালিবের (২৪) চেষ্টায় ৯ উইকেটে ২২২ রান পর্যন্ত যায় রূপগঞ্জ।
Advertisement
মোহামেডানের শুরু তেমন ভালো হয়নি। অধিনায়ক তামিম প্রথম ওভারে অফ সাইডে দুটি বাউন্ডারি হাঁকালেও খুব অল্প সময়ে রূপগঞ্জের দ্রুত গতির বোলার ফাহাদের বলে একজন স্লিপ থাকার পরও থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাত্র ১৪ রানে (১৭ বলে)।
অপর ওপেনার রনি তালুকদার ত্রিশের ঘরে পা রাখলেও খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য ও সাবলীল ছিলেন না। যেমন সাবলীল মনে হয়নি আগের ম্যাচে ৭০+ করা আরিফুল হককে।
মোদ্দাকথা, মাহিদুল ইসলাম অংকন ছাড়া প্রথম ৪ জনের তিনজনের কম রানে আউট হওয়ার কারণে মোহামেডানের রান চাঁকা এক সময় ধীরগতির ছিল। পরে মাহিদুল ও হৃদয় হাত খুলে খেলে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে অতিদ্রুত রান তুলে মোহামেডানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
ওয়ানডাউন মাহিদুল ৯৭ বলে ৮১ ও হৃদয় ১৫৭.৪৫ স্ট্রাইকরেটে অপরাজিত ৭৪ রানে থেকে চতুর্থ উইকেটের ১১৯ রানের অবিচ্ছন্ন জুটি গড়লে মোহামেডান শেষ পর্যন্ত পায় সহজ জয়।
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম