ঝালকাঠির নলছিটিতে যুবদল ও ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়। পরে মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আহতদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার সিদ্ধকঠি ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামাল খান।
এতে বলা হয় হয়, ২ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রনি সিকদারকে পিটিয়ে আহত করেন সুমন সরদার, হুমায়ুন সরদার, রাসেল হাওলাদার, রফিক হাওলাদার, সুলতান সরদার, আদু গাজী, ইমন হাওলাদার ও মনিরসহ কয়েকজন ব্যক্তি। তারা ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিলেন। বর্তমানে বিএনপির পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রনিকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ৩ মার্চ নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। থানার এএসআই কাওছার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা। ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক এখলাস হোসেন মুন্না, দপদপিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাসেল মাঝি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোহাম্মদ সোহাগসহ ৫-৬ জনকে সুমন সরদার, হুমায়ুন সরদার, রাসেল হাওলাদার, রফিক হাওলাদার, সুলতান সরদার, আদু গাজী, ইমন হাওলাদার ও মনিরসহ কয়েকজন ব্যক্তি কুপিয়ে আহত করেন।
Advertisement
লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা কামাল খান বলেন, গুরুতর অবস্থায় এখলাস হোসেন মুন্না, রাসেল মাঝি ও সোহাগকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নলছিটি থানায় একটি মামলা হলে নলছিটি ও ঝালকাঠির কয়েকজন বিএনপি নেতার সহযোগিতায় আসামিরা জামিন পেয়ে আহতদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন, দুলাল গাজী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার, সদস্য সচিব মো. রিয়াজ, ছাত্রদল নেতা মো. তুহিন ও তানসেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুমন সরদার বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। আমরা জামিনে মুক্ত আছি। কাউকে কোনো ধরনের হুমকি দেওয়া হয়নি।
Advertisement
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, হুমকি দেওয়ার প্রমাণ পেলে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. আতিকুর রহমান/জেডএইচ/জেআইএম