লাইফস্টাইল

রোজায় যেমন হওয়া উচিত নতুন মায়েদের যত্ন

যারা সদ্য মা হয়েছেন তাদের জন্য রোজা পালন অনেকটা কষ্টসাধ্য। কেননা এসময় সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে মায়ের বুকের দুধ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু নবজাতকের প্রথম ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মাত্র মায়ের দুধই তার প্রধান খাদ্য। এছাড়া যে মায়েদের শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন ঘটছে, তাদের জন্য সঠিক যত্ন এবং পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন রোজায় নতুন মায়ের যত্নে সহজ ও কার্যকরী কিছু পরামর্শ।

Advertisement

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

গর্ভাবস্থায় বা ল্যাকটেশন পিরিয়ডে (অর্থাৎ, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়) রোজা রাখার আগে সর্ব প্রথম চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আপনার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিবে।

]

আরও পড়ুন সাময়িক স্বস্তির পর বাড়াতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বয়স্কদের জন্য ইফতারে কী ধরনের খাবার রাখা উচিত? পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং পানি পান

নতুন মায়েদের জন্য রোজা রাখার সময় পর্যাপ্ত পুষ্টি ও পানি পান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহেরিতে এবং ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, এতে শরীরে শক্তি বজায় থাকে। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন (যেমন-ডাল, শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি)।

Advertisement

এছাড়া পানি পানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোজা রাখার সময় ডিহাইড্রেশন বা পানি শূণ্যতার কারণে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। রোজায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন এবং সারা দিন শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করুন।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম

নতুন মায়েরা রোজা রাখার সময় শরীরে অতিরিক্ত চাপ অনুভব করতে পারেন। বিশেষ করে নবজাতকের যত্ন নেওয়ার কারণে মায়েরা অনেক সময় অনিদ্রায় ভোগেন। সারাদিনে অনাহারে থাকা এবং অনিদ্রার কারণে শরীরের ওপর বাড়তি চাপে পড়তে পারে। তাই মায়ের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। দিনে বিশ্রাম নিতে পারলে শরীর বেশি চাঙ্গা থাকবে এবং রোজা রাখাও সহজ হবে।

মানসিক প্রস্তুতি

নতুন মায়ের জন্য রোজা শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়াও জরুরি। অনেক সময় মায়েরা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক চাপ অনুভব করেন, বিশেষ করে যদি তারা একাধিক দায়িত্ব পালন করছেন (যেমন নবজাতককে খাওয়ানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা ইত্যাদি)। তাই রোজা রাখার সময় মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে পজিটিভভাবে প্রস্তুত রাখুন এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য নিন।

সময়মতো খাবারের গুরুত্ব

রোজায় নতুন মায়ের জন্য সেহরি ও ইফতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে ভারি খাবারের পরিবর্তে সুষম খাবার গ্রহণ করুন, যেন দিনের বেলা শক্তি বজায় থাকে। ইফতারে প্রচুর পানি ও সহজপাচ্য খাবার (যেমন-সুপ, ফল, খেজুর, দই ইত্যাদি) খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীর দ্রুত সুস্থ হবে এবং পুষ্টির অভাবও পূর্ণ হবে।

Advertisement

শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় রোজা রাখা অনেক চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে সঠিক যত্ন ও পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জকে সহজ করা যেতে পারে। নতুন মায়েরা যদি সতর্ক হন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেন এবং সুস্থ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখেন তাহলে রোজা পালন করা সম্ভব। আপনার স্বাস্থ্য ও সন্তানের সুস্থতা নিশ্চিতের জন্য চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ নেওয়া উচিত।

জেএস/জিকেএস