শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির এবং তার অনুসারীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের একাংশ।
Advertisement
রোববার (২ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে আলমগীরের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ঘোষণা দেন তারা। এর আগে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এসময় তারা আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ৫ আগস্টের পর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেকৃবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বিএম আলমগীর কবির সরকার পতনের পর আবাসিক হল দখল এবং পরবর্তী সময়ে দখলদারত্ব ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করছেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, আলমগীর কবির তার অনুগত ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আজ (রোববার) ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে স্থিতিশীল ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশকে ব্যাহত করেছেন। যার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে ও তার অনুগতদের প্রতিহত করে। পরে তার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে ক্যাম্পাসে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
Advertisement
মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ২৪ হলের ক্যান্টিন সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে রোববার বিকেলে উত্তেজনা শুরু হয়। যা দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে এ ঘটনা পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে জানতে আলমগীর কবিরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সাইদ আহম্মদ/এমকেআর
Advertisement