জাতীয়

ক্যানসারের ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে উৎসে কর কমলো

ক্যানসারের চিকিৎসা আরও সুলভ করার উদ্দেশ্যে এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করেছে সরকার।

Advertisement

রোববার (২ মার্চ) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) প্রজ্ঞাপনের এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, আয়কর আইন, ২০২৩(২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, ২৯ মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও. নং ১৭৬-আইন/২০২৪/২৮/কাস্টমস এ বর্ণিত ক্যানসার নিরোধক ওষুধ প্রস্তুতের জন্য আমদানিকৃত পণ্যসমূহের ওপর আরোপণীয় উৎসে কর সংগ্রহের হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন

Advertisement

টাকা পাওয়ার আগেই মারা যান রোগী ক্যানসার আক্রান্তদের বাঁচাতে ও আক্রান্ত হওয়া প্রতিরোধে ৯ সুপারিশ চলতি বছরে চালু হচ্ছে চার ক্যানসার হাসপাতাল: অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বছরে প্রতি লাখে নতুন করে ক্যানসার আক্রান্ত হয় ৫৩ জন

গত ১৫ জানুয়ারি এনবিআরে ক্যানসারের ওষুধের দাম কমিয়ে মাল্টিভিটামিন ও মাল্টিমিনারেল জাতীয় ওষুধের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

চিঠিতে উপদেষ্টা জানান, ক্যানসার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামালের ওপর আরোপিত অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) এবং অ্যাডভান্স ট্যাক্স (এটি) কমিয়ে মাল্টিভিটামিন ও মাল্টিমিনারেল জাতীয় ওষুধে এআইটি ও এটি আরোপ করলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে ৩৪০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় দেশের দরিদ্র মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত হলে এই ব্যয় করতে গিয়ে নিজে ও পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়।

চিঠিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-ক্যানসার জাতীয় ওষুধের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০টি হলেও এর ব্যবহৃত শতভাগ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। অ্যান্টি ক্যানসার জাতীয় ওষুধ আমদানি করতে কাঁচামালের ওপর আরোপিত কর উৎপাদনকারী বা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হয়। ফলে ওষুধের দাম বাড়ে এবং এই অতিরিক্ত করের বোঝা দেশের দরিদ্র মানুষকেই বহন করতে হয়।

Advertisement

এসএম/ইএ/এমএস