রাজনীতি

উত্তরায় জামায়াতের ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি উদ্বোধন

পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরায় ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে জামায়াত। রোববার (২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে এর উদ্বোধন করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

Advertisement

এসময় সেলিম উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হয়ে যারা চাঁদাবাজি করে তাদের চাইতে বড় দুশমন আল্লাহর জমিনে আর নেই। রাজনীতির নামে জনগণকে ভোগান্তি দেওয়ার সমালোচনাও করেন তিনি।

মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ও উত্তরা মডেল থানা আমির মো. ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আশরাফুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার প্রার্থী মাহফুজুর রহমান, উত্তরা মডেল থানার নায়েবে আমির হারুনুর রশীদ তারেক, তুরাগ মধ্য থানা নায়েবে আমির কামরুল হাসান প্রমুখ।

রমজান মাসে যেসব ব্যবসায়ী ভোজ্যতেল বাজার থেকে সরিয়েছেন, যে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর জন্য সিন্ডিকেট করে বসে আছেন তাদের জাহান্নামের আগুনকে ভয় করার কথা স্মরণ করিয়ে দেন সেলিম উদ্দিন।

Advertisement

সিন্ডিকেটকারীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, রোজাদারদের প্রতিটি নিঃশ্বাস গজব হয়ে নাজিল হবে। আল্লাহর গজবে অতল গহবরে চলে যাবেন। আল্লাহকে ভয় করুন। বাংলাদেশে কোনো জিনিসের উৎপাদন সংকট নেই। যেসব পণ্যে দাম বাড়ানো হচ্ছে-একটিরও উৎপাদনে সংকট নেই। আপনারা সিন্ডিকেট করে সংকট তৈরি করছেন।

সেলিম উদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দল স্বীকার করেছে বাজার আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। তারা এমন চোরদের দিয়ে এমন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বানিয়েছিল যাদের তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। হাসিনা পারেনি এর আগের সরকার পারেনি। আমরা আশা করেছিলাম। অধ্যাপক ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন ব্যক্তিত্ব। তার ওপর আমরা এখনো আস্থা রাখি। কিন্তু তিনি যাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তিনি কী উদ্যোগ নিয়েছেন জাতির সামনে সেটি ক্লিয়ার নয়।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার রাজনৈতিক নয়, বহুল সমর্থিত সরকার। তারাও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আল্লাহর ভয় আছে এমন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দল-কর্মী ছাড়া আর কেউ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

সেলিম বলেন, জামায়াত ভোট পাওয়ার জন্য এগুলো করে না। মানুষের কল্যাণের জন্য এগুলো করে। আর যারা ভোট পাওয়ার জন্য এগুলো করে তারা এখনো বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা কামাই করছে ভোট করার জন্য। ভোটে পাস করে আসার পর আবার জনগণকে শোষণ করেন তারা।

Advertisement

এএএম/এমআইএইচএস/জিকেএস