১৬ বছর পার হয়ে গেছে। এই দিনে কথা বলা খুব কষ্টকর। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৩৬ ঘণ্টার জন্য বন্দিদশায় ছিলাম। সেখান থেকে যখন বের হতে পেরেছিলাম মনে হয়েছিল নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। কিন্তু আমরা বের হওয়ার পর নতুন করে মারা গিয়েছি, যখন জানতে পারি আমার বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে। বাবার মরদেহ পাওয়া গেছে।
Advertisement
কথাগুলো বলতে বলতে গলা ধরে আসছিল পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান খানের মেয়ে ড. ফাতিহা বুশরা প্রমির।
আমার মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আমার ছয় বছরের বাচ্চাকে শার্ট খুলিয়ে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। ওরা যে কী বর্বর ছিল! পুরো ট্রমাটাইজড ছিলাম আমরা অনেক দিন
বলছিলেন, আগেরদিন রাতেও বাবা টেলিভিশনে টকশো দেখছিলেন, সেই স্মৃতি মনে আছে। আমাকে কোচিং থেকে গাড়িতে করে নিয়ে আসছে বাসায়। পরেরদিন থেকে আমার জীবন যে পরিবর্তন হয়ে যাবে সেটা মানতে পারিনি। এই দিন যখন আসে আমি আসলে জানি না কোন আঘাত নিয়ে আমরা কাজ করবো। ৩৬ ঘণ্টার সেই বিভীষিকাময় সময় নিয়ে স্মৃতিচারণ করবো না আমার বাবার মরদেহ যেভাবে পেয়েছি সে বিষয় নিয়ে কথা বলবো। সেদিন ফোন করে অনেকের কাছে আকুতি-মিনতি করেছিলাম আমাদের বাবাদের বাঁচানোর জন্য। হয়তো অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন সেদিন, কিন্তু আপনারা সেদিন পারেননি।
Advertisement
১৫ বছর আগে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও নেপথ্যে জড়িতদের বের করতে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান প্রমিসহ শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা।
সেদিন বিডিআর জওয়ানরা যেভাবে অত্যাচার করেছিল পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও কোনো বর্বর জাতি নারী-শিশুদের ওপর এমন অত্যাচার করেনি। এসময় বিডিআর জওয়ানদের যে বিজয়ের উল্লাস দেখেছি তা সত্যিই সহ্য করার মতো নয়
ফাতিহা বুশরা প্রমি আরও বলেন, আজ ১৬ বছর পরে আমি চাই অন্তত আপনারা কোনো চেষ্টার ত্রুটি রাখবেন না। যে তদন্ত হচ্ছে সেটা যেন সুষ্ঠু হয়। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকটা খুনির মুখোশ যেন উন্মোচন হয়। বিচারের আশা এতদিন রাখিনি, এখন চাচ্ছি। আশা করি আমাদের আরও একবার ফিরিয়ে দেবেন না। আমাদের বাবাদের আত্মার জন্য, এতদিন যারা প্রচণ্ড রকমের কষ্ট বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি এতটুকু ইনসাফ আপনারা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন এবার।
নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ‘জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি’ ও ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালনের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল শহীদ সেনা পরিবারের। সেটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার কর্ণপাত করেনি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে।
Advertisement
কেউ যদি বলে সব বিডিআর এ হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়নি তা ভুল, সবাই হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল এবং হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছিল। একমাত্র সুবেদার নুরুল ইসলাম ছাড়া আর কেউ প্রতিবাদ করেনি
শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, হতাকাণ্ডের বিচারের এখন পরিবেশ হয়েছে। দেশ তদন্ত কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের অমূল্য সম্পদ ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারীদের নিরাপদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। এর পেছনের কুশীলবদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
জীবদ্দশায় বিচার দেখে যেতে চাইকথা হচ্ছিল শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমানের স্ত্রী শারমিন নিশাত সিরাজীর সঙ্গে। তিনি বলেন, জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্। ২০০৮ সালের নভেম্বরে আমার স্বামী শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমানের পোস্টিং হয়েছিল রাজেন্দ্রপুর থেকে বিডিআর পিলখানায়। তিনি পিলখানা হেডকোয়ার্টারে এসে জয়েন করেন, এর কিছুদিন পর আমি এসেছিলাম। আমি আসার পরে মেসে থাকতাম। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে যে ঘটনা ঘটেছিল সেই ঘটনা আজও আমি ভুলতে পারিনি।
আরও পড়ুন পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তদন্ত কমিশনের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদতখন বাচ্চা দুটি অনেক ছোট জানিয়ে বলেন, বড়টার বয়স ১০ বছর, ছোটটার বয়স তখন ৬। যে বিভীষিকাময় পরিবেশটা ছিল তখন, সৈনিকরা যে পিশাচ ছিল, চিন্তাই করতে পারিনি একজন আর্মি অফিসারের পরিবার এখানে আছি, আমাদের গালিগালাজ করে ধরে নিয়ে গেলো কোয়ার্টারের দিকে। সেখানে দেখলাম বিডিআরের অনেক পরিবারের সদস্য। আমার বাচ্চারা ভয়ে বললো- আম্মু আমাদের কেন এখানে নিয়ে আসা হলো? আমি বললাম, বাবা আমি জানি না। তখন আমার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। আমার মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আমার ছয় বছরের বাচ্চাকে শার্ট খুলিয়ে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। ওরা যে কী বর্বর ছিল! পুরো ট্রমাটাইজড ছিলাম আমরা অনেক দিন।
৯ বছর আমার বাবাকে পেয়েছি; সেই ৯ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়েই আমি আজ এ পর্যায়ে আছি। বাসায় যখন ফিরতাম মাকে দেখতাম কান্না করছে, ভেঙে পড়ছে। এমন অনেক পরিস্থিতি হয়েছে আমাদের কেউ ছিল না। আমার মাকে এই ৯ বছরের শিশুর কাছেই কান্না করতে হয়েছে। কারণ তার আর কেউ ছিল না
আমাকে বিডিআরের একজন সোলজার বললো ‘তুই চোখ তুলে তাকাবি না, চোখ কানা করে দেবো, চোখ নামা।’ আমার বাচ্চারা বলছে, ‘আম্মু, আংকেলরা এভাবে কথা বলছে কেন?’ আমি বাচ্চাদের কী জবাব দেবো তখন! বাচ্চাদের খাবার ছিল না...। সারাটা দিন-রাত ওখানে পার করেছি। আরও ভাবি, ভাই ও তাদের মায়েরা ছিল সেখানে। পরের দিন বিকেলে সেই রুম থেকে আমাদের বের করা হলো। আল্লাহ্র কাছে বলেছি আমার স্বামীকে ভালো রাখেন। তখনও জানি না আমার স্বামী বেঁচে আছেন কি না। আমি বের হয়ে বলছি মেসে যাবো; নিশ্চয় মেসের রুমে আমার স্বামী আছে।
আমার ছোট দুইটা বাচ্চা বলছে, ‘আম্মু জানো আব্বুকে মেরে ফেলছে, জানাজা হবে চলো যাই।’ তখনও আমি কিছু বলতে পারিনি ওদের।
অনেক সংগ্রাম করে বাবাহীন দুই সন্তানকে বড় করে তুলেছেন শারমিন নিশাত সিরাজী। তিনি বলেন, আজ বড় ছেলে বুয়েটের শিক্ষক আর ছোট ছেলেটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। দুইটা বাচ্চাকে নিয়ে অনেক সংগ্রাম করেছি জীবনে। একজন স্বামী ছাড়া দুইটা বাচ্চা বড় করা কত কষ্ট কেউ বুঝবেন না। নিজে চাকরি করেছি। পরে চাকরি ছেড়ে দিয়েছি শুধু বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে। এখন আমাদের একটাই দাবি বিচার। নেপথ্যে আর প্রকাশ্যে সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক। জীবদ্দশায় বিচার দেখে যেতে চাই। সন্তানেরাও দেখতে চায়। শহীদ পরিবারের এই একটাই কাম্য।
৫৭ কর্মকর্তার মরদেহ পোড়াতে ট্রাকে লোড করা হয়পিলখানা থেকে বেঁচে ফেরা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রিয়াজ বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী আমি। সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাদের ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিল। এমনকি তাদের মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য ট্রাকে লোড করা হয়। পরে দুটি গণকবরে মাটি চাপা দেওয়া হয়। সেদিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন বিডিআর ডিজি এবং তার বাসায় আগত মেহমানদেরও নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই রক্তপিপাসু জওয়ানরা সেদিন অফিসারদের বাসা থেকে তাদের স্ত্রী-সন্তান ও বৃদ্ধাদের নিয়ে কোয়ার্টারে ছোট ছোট সেলে বন্দি করে। সেই জায়গায় সেদিন আমি ছিলাম। সেদিন দেখেছি নারী-শিশুদের কী আর্তনাদ, আত্মচিৎকার তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
তিনি বলেন, সেদিন বিডিআর জওয়ানরা যেভাবে অত্যাচার করেছিল পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও কোনো বর্বর জাতি নারী-শিশুদের ওপর এমন অত্যাচার করেনি। এসময় বিডিআর জওয়ানদের যে বিজয়ের উল্লাস দেখেছি তা সত্যিই সহ্য করার মতো নয়। আমার ছোট ছোট দুটি বাচ্চাকেও ধরে আনা হয়েছিল। বিডিআর জওয়ানরা সেদিন বাসায় লুটপাট, টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। পিলখানায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
সবার প্রশ্ন সেদিন বিডিআরের সব সদস্য বিদ্রোহ করেছিল কি না। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেদিন প্রায় পাঁচ হাজার বিডিআর সৈন্য এবং অস্ত্র পাঁচ হাজার ছিল। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব অস্ত্র বিডিআর সৈন্যরা নিয়ে যায় এবং হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়। কেউ যদি বলে সব বিডিআর এ হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়নি তা ভুল, সবাই হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল এবং হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছিল। একমাত্র সুবেদার নুরুল ইসলাম ছাড়া আর কেউ প্রতিবাদ করেনি।
লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজ আরও বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর চারটি তদন্ত হয়েছে। সেনা তদন্ত, আনিসুজ্জামান তদন্ত, সিআইডি তদন্ত এবং ইউনিট পর্যায়ে তদন্তে আমাদের ও ভাবিদের সাক্ষীর পরিপ্রেক্ষিতে বিডিআর সৈনিকদের সেদিন বিচার করা হয়েছিল। তাই তাদের নিরপরাধ বলার কোনো সুযোগ নেই। তদন্তের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা অপরাধী। বিভ্রান্তিতে কান না দিয়ে কেউ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।
বাবা ‘লিটল অ্যাঞ্জেল’ বলে ডাকতেনশহীদ মেজর কাজী মোসাদ্দেক হোসেনের মেয়ে কাজী নাজিয়া তাবাসসুম বলেন, বাবা আমাকে ‘লিটল অ্যাঞ্জেল’ বলে ডাকতেন। ১৬ বছর আগে ঠিক এই দিনে (২৫ ফেব্রুয়ারি) টেলিভিশনের পর্দায় বিধ্বস্ত কিছু দেখাচ্ছিল। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের বাসায় বোনের সঙ্গে ছিলাম এবং টিভিতে কিছু একটা দেখছিলাম। এমন এক সময় আমার মায়ের কাছে হঠাৎ ফোন আসে। ফোনটা রিসিভ করার পর মা ভেঙে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে টিভির পর্দা চেঞ্জ করে যখন নিউজ চ্যানেলে যাই আমি দেখতে পাই আমার বাবা যেই ইউনিফর্ম পরে গর্বিত, যে ইউনিফর্ম পরে সেদিন বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন অ্যাওয়ার্ড নিতে; সেই ইউনিফর্মের কিছু লোক ছাদে অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক একই ইউনিফর্ম পরা কিছু লোক পিলখানা গেটে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছে। তখন আমার বয়স ৯ বছর। তখন আমি খুব বেশি কিছু বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম বাবা হয়তো ফিরে আসবেন।
বাবা ছাড়া এই দুনিয়ায় বেঁচে থাকা বেশ কষ্টের জানিয়ে বলেন, যে ৯ বছর আমার বাবাকে পেয়েছি সেই ৯ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়েই আমি আজ এ পর্যায়ে আছি। বাসায় যখন ফিরতাম মাকে দেখতাম কান্না করছে, ভেঙে পড়ছে। এমন অনেক পরিস্থিতি হয়েছে আমাদের কেউ ছিল না। আমার মাকে এই ৯ বছরের শিশুর কাছেই কান্না করতে হয়েছে। কারণ তার আর কেউ ছিল না। পাশের রুমে যখন বোনের কাছে যেতাম দেখতাম বোনটা নিজে নিজেই কান্না করছে। কারণ ও মায়ের সামনে বা বোনের সামনে কান্না করতো না।
টেলিভিশন খুললেই এমন একটা ব্যক্তির চেহারা দেখা লাগতো যে নিজেকে প্রকাশ করত জাতির কষ্ট বোঝে, মানুষের কষ্ট বোঝে। এই একই ব্যক্তিকে যখন আমি নিজে জিজ্ঞাসা করেছিলাম- আপনি কেন আর্মি সোলজার্স ভেতরে পাঠাননি? ওনার উত্তর ছিল- তারা সব দিক থেকে চেষ্টা করেছে। হোয়াট এ জোক! কারণ সেই ব্যক্তির জন্য জুলাই-আগস্টে আমাদের আরও কিছু লোককে হারানো লেগেছে।
শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার মাধ্যমে আমাদের বাবাদের জাতীয়ভাবে সম্মান দেওয়া হয়েছেপিলখানা হত্যাযজ্ঞে বাধাদানকারী শহীদ বিডিআরের কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নূরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার মাধ্যমে পিলখানায় শহীদ আমাদের বাবাদের আত্মত্যাগের প্রতি জাতীয়ভাবে সম্মান দেওয়া হয়েছে। এই দিবস ঘোষণার মাধ্যমে আমরা যে শহীদের সন্তান, আমাদের হৃদয়ের যে ক্ষত সেটি একটু হলেও কমেছে।
তিনি বলেন, ঢালাওভাবে যেন সবাইকে ছেড়ে দেওয়া না হয়। হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত কিন্তু বিস্ফোরক মামলার আসামি তাদের যেন ঢালাওভাবে মুক্তি দেওয়া না হয়। এটা করা হলে আমরা শহীদ পরিবার খুব কষ্ট পাবো। যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, যারা মাস্টারমাইন্ড ছিল তাদের যেন আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার সুনিশ্চিত করা হয়।
পিলখানায় শহীদ কর্নেল এমদাদুল ইসলামের ছেলে আকিভ আল ইসলাম বলেন, ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্তটি নিয়েছে তা কিন্তু বিগত সরকার নেয়নি। কারণ বিগত সরকার হাইড করার চেষ্টা করে গেছে। আমরা ও তারা খুব ভালো করে জানি ঘটনাটা কে কীভাবে ঘটিয়েছে। গত ১৫ বছরের বিচার প্রক্রিয়া মূল্যায়নটা হচ্ছে সরকার বিচারের প্রক্রিয়াটা পজিটিভলি নেয়নি। আমরা চাই এই সরকার বিচার প্রক্রিয়াটা পজিটিভলি নিক। বিচারিক প্রক্রিয়ায়ই বিচার হোক। আমরা কষ্টে আছি, কারণ বিচারটা কেন হচ্ছে না। যারা এখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় জড়িত আছেন তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে।
টিটি/এএসএ/জিকেএস