একপেশে পারফরম্যান্স দেখিয়ে সাউদাম্পটনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করলো চেলসি। দুর্দান্ত এই জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় সাত থেকে এক লাফে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ব্লুজরা। আর সাউদাম্পটন টেবিলের তলানিতেই আটকে রয়েছে।
Advertisement
দলের মূল স্ট্রাইকার নিকোলাস জ্যাকসনের ইনজুরির কারণে চেলসির গোলস্কোরিংয়ে সমস্যা হচ্ছিল, ফলে ডিফেন্ডারদেরও গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে হয়।
তবে, চেলসি ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য ধরে রাখে। খেলার মাত্র এক মিনিটের মাথায় অ্যারন রামসডেল কোল পালমারের শট পায়ের সাহায্যে রুখে দেন। কিন্তু সেই কর্নার থেকে টোসিন আদারাবিওইোর হেডের পর ব্যাক পোস্টে দাঁড়িয়ে ক্রিস্টোফার এনকুনকু বল জালে পাঠিয়ে চেলসিকে এগিয়ে দেন।
এরপর, ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড এনকুনকু গোলদাতার ভূমিকা থেকে সরিয়ে অ্যাসিস্ট করেন। তার নিখুঁত পাস পেয়ে চেলসির পর্তুগিজ উইঙ্গার পেদ্রো নেতো বাম পায়ের শটে বল রামসডেল ও নিয়ার পোস্টের মাঝ দিয়ে জালে জড়ান।
Advertisement
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে চেলসি আরও একবার স্কোরলাইন বাড়ায়। ৪৫তম মিনিটে পেদ্রো নেতোর ফ্রি-কিক থেকে লেভি কলউইল হেড করে গোল করেন, ফলে প্রথমার্ধেই ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ব্লুজরা।
এরপর, ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ১৯ বছর বয়সী বদলি খেলোয়াড় টাইরিক জর্জের নিখুঁত পাস থেকে স্প্যানিশ উইং-ব্যাক মার্ক কুকুরেয়া গোল করলে ৪-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় চেলসির।
এই ম্যাচের আগে চেলসি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরেছিল, যার ফলে তারা সপ্তম স্থানে নেমে গিয়েছিল। দুর্দান্ত জয় তাদের শুধু লিগ টেবিলে ওপরেই তুলে আনেনি, আগামী মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে।
এমএমআর/এমএস
Advertisement